শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

রান পেলেন সাকিব, রংপুরের বড় স্কোরে চাপে ঢাকা

প্রকাশনার সময়: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩১
অবশেষ ব্যাটে রান পেলেন সাকিব আল হাসান। ছবি- সংগৃহীত

অবশেষে মিরপুরে দেখা মিলল বড় স্কোরের। শুরু থেকেই বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিল রংপুর রাইডার্স। শেষ দিকের ব্যাটারদের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আভাসমতোই চ্যালঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে সাকিব-সোহানের দল।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুরে বিপিএলের ২১তম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছে রংপুর।

জবাব দিতে নেমে মাত্র ২ রানেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে দুর্দান্ত ঢাকা। অভিষিক্ত সাব্বির দ্বিতীয় ওভারেই শেখ মাহেদির বলে সীমানার কাছে শামীম পাটোয়ারীর দুর্দান্ত এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরেছেন, মাত্র ১ রান করে।

এদিন রংপুরের হয়ে রনি তালুকদারের সঙ্গে ইনিংস গোড়াপত্তনে নামেন পাকিস্তানি ব্যাটার বাবর আজম। ইনিংসের প্রথম তিন ওভার পর্যন্ত কিছুটা রক্ষণাত্মক খেললেও চতুর্থ ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে এই জুটি। এতে দ্রুতই বাড়তে থাকে রংপুরের রানের গতিও। পাওয়ার প্লে-তেই দলীয় ৫০ পেরিয়ে যায় নুরুল হাসান সোহানের দল।

এসময় আরেকটু আক্রমণাত্মক হওয়ার আভাস দিয়ে দলীয় ৬৭ রানে সাজঘরে ফেরেন রনি। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। আরাফাত সানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ৬ চার ও এক ছক্কায় ২৪ বলে ৩৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ওপেনার।

এদিন অনেকটা চমক দিয়েই তিনে ব্যাট করতে নামেন চলতি বিপিএলে রানখরায় থাকা সাকিব আল হাসান। বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বেঁধে রংপুরের ইনিংসকে এগিয়ে নিতে কাজ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এদিন তাকে কিছুটা ক্ষুর্ধাতই মনে হচ্ছিল। যে কারণে ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন সাকিব।

আর সাকিব-বাবরের জুটিতে ভর করে ১৩তম ওভারেই দলীয় ১০০ পার করে রংপুর। যদিও ইনিংসের ১৫তম ওভারে বাবরকে সাজঘরের পথ দেখান ঢাকার দলপতি মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত। ঢাকার কাপ্তানের অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের নিচু বল পুল করতে গিয়ে ডিপ-ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন বাবর।

সেখানে সহজ ক্যাচ নেন গুলবাদিন নাইব। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারিতে ৪৩ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন দ্য গ্রিন ম্যান নম্বর ওয়ান। একই ওভারে সাকিবকেও ফেরান মোসাদ্দেক। ডিপ-মিড উইকেটে নাঈম শেখের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২০ বলে ৩৪ রানের মারকাটারি এক ইনিংস খেলেন ২১ রানে জীবন পাওয়া সাকিব।

চারে ব্যাট করতে নেমে এদিন সুবিধা করতে পারেননি আজমউল্লাহ ওমরজাই। ৭ বলে মাত্র ৩ রানে অভিষিক্ত সাব্বিরের শিকার (কট অ্যান্ড বোলড) হয়ে ফেরেন আফগান অলরাউন্ডার। এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি সোহান ও আফগান মোহাম্মদ নবি জুটি।

ব্যাটে ঝড় তুলে মাত্র ২২ বলে ৪৪ রান সংগ্রহ করে এই জুটি দলের স্কোরকে পৌঁছে দেয় পৌনে দুশ’র ঘরে। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন নবি আর সোহান অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ১৬ রান নিয়ে, একটি করে ছয়-চারে।

ঢাকার বোলার মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকত ২টি উইকেট নেন। এছাড়া সাব্বির ও আরাফাত সানি পান ১টি করে উইকেট।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ