আবারও হারলো সিলেট, টানা পাঁচ হারের পর এক ম্যাচে জয় পেলেও সেই ধারা বজায় রাখতে পারেনি মোহাম্মদ মিঠুনের দল। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরেছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে। অন্যদিকে, সিলেটকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে তিন নম্বর থেকে এক লাফে শীর্ষে উঠে বসেছে সোহান-সাকিবের দল।
এমন এক জয়ের পর গ্যালারির দর্শকদের অভিবাদন জানায় পুরো দল। সঙ্গে থাকা দলের মহাতারকা সাকিব আল হাসান হুট করেই চলে এলেন সংবাদ সম্মেলনে।
অধিনায়ক সোহানের বদলে সাকিবের আগমনে বিস্ময় দেখা দিল উপস্থিত সাংবাদিকদের মধ্যে। প্রথমেই যে প্রশ্নটা করা হলো, ‘কেমন আছেন?’ সাকিবের জবাব, ‘ভালো আছি।’ চোখ কেমন আছে? এবারও সাকিবের জবাব, ‘ভালো আছে...!’
এরপরের কথাতেই সাকিব যেন বিস্মিত করলেন সবাইকে। চোখের সমস্যায় তিনি ভুগছেন অনেকদিন ধরে। এ নিয়ে বিসিবির পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। সাকিব এর মধ্যে এক ম্যাচে ৯ নম্বরে নামলেও, আরেক ম্যাচে পাঁচ ব্যাটার আউট হওয়ার পরও নামেননি।
তো এ নিয়ে, আপনার চোখের জন্য যে সমস্যা হয়েছে.... এই প্রশ্নটা শেষ করতে না দিয়েই সাকিব পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনাকে কে বলছে চোখের জন্য সমস্যা হচ্ছে?’
এরপর, আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেছিলেন, সাকিবকে আসার জন্য অনুরোধ করবেন তিনি। এ কারণেই কি সংবাদ সম্মেলনে আসা? সাকিবের উত্তর, ‘অনুরোধ করেনি, অর্ডার দিয়েছে। অধিনায়ক অর্ডার দিয়েছে, চলে এসেছি।’
এরপর আবারও প্রশ্ন আসে সেই চোখের সমস্যা নিয়েই। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে চার নম্বরে খেলতে নেমেছিলেন। আগের দুই ম্যাচে যেমনটা নামেননি। তাহলে কি চোখ নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বেড়েছে?
সাকিবের উত্তর, ‘এটা তো বলা মুশকিল। আসলে রান যত করবো, তত কমফোর্ট লেভেলটা বাড়বে। রান যতক্ষণ না করতেছি,ততক্ষণ পর্যন্ত ওই ছন্দও আসবে না, কমফোর্ট জোনটাও থাকবে না- এটা খুব স্বাভাবিক।’
ব্যাটিং করতে না পারায় কি কোনো হতাশা আছে? এক শব্দে সাকিবের উত্তর, ‘না’। এমনিতে খেলতে নেমেও অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। প্রথম বলেই লেগবিফোর আউট হয়ে গেছেন। এ নিয়ে সাকিবের জবাব জাস্ট এটুকুই, ‘বুঝলাম যে, খারাপ সময়ে সবই খারাপ যায়।’
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ