এবারের টুর্নামেন্টের ছন্নছাড়া দল দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে জিতে পরের ম্যাচেই আবারও হারের দেখো পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। টানা পাঁচ হারের পর ওই একটি ম্যাচে জয় পেলেও সেই ধারা বজায় রাখতে পারেনি মোহাম্মদ মিঠুনের দল। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচে রংপুরের কাছে হেরেছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে। আর সিলেটকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে তিন নম্বর থেকে এক লাফে শীর্ষে উঠে বসেছে সোহান-সাকিবের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে, ১৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। এতে ৭৭ রানের জয় পায় সোহানের দল। এতে ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচেও হারলো সিলেট। আর সবাইকে পিছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রংপুর।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। শুরুতেই ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন হ্যারি টেক্টর। আজমতুল্লাহ ওমারজাইয়ের বলে বোল্ড আউট হন এই আইরিশ ব্যাটার। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসাইন শান্তও। সিলেটের হাল ধরার চেষ্টা করেন সামিত প্যাটেল। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে উইকেট বিলাতে থাকেন বাকিরা। জাকির হোসেন (৪), মোহাম্মদ মিথুন (১) ও শামসুর রহমান শুভ ৩ রানের আউট হন।
ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সামিত প্যাটেলও। ২০ বলে ১১ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৫ রান করেই তার পথ ধরেন আরিফুল হক। এতে দলীয় ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় সিলেট। কিন্তু এক প্রান্তে লড়াই করতে থাকেন রায়ান বার্ল। এরমধ্যে ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন নাইম হাসান। আর ৩২ বলে ৪৩ রান করে বার্ল আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিলেট। এরপরে এনগারাভা বোল্ড আউট হলে ১৯ বল হাতে থাকতেই ৮৫ রানে অলআউট হয় সিলেট। এতে ৭৭ রানের বড় জয় পায় রংপুর।
রংপুরের হয়ে বল হাতে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন শেখ মাহেদী হাসান ও মোহাম্মদ নবি। এ ছাড়াও সাকিব দুটি, আজমতুল্লাহ ওমারজাই ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাবর আজম ও অধিনায়ম নুরুল হাসান সোহানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১৬২ রানের পুঁজি পায় ৭ উইকেট হারানো রংপুর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান আসে পাকিস্তান ব্যাটারের উইলো থেকে। ৩৭ বলে ৭টি চারের মারে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিয়ে ফিফটির লক্ষ্যে থাকলেও, মাত্র ৩ রানের জন্য সাবেক নাম্বার ওয়ান ব্যাটারকে বঞ্চিত করেন সামিত প্যাটেল।
বারবরের পর একই পথে হেঁটে সম্ভাবনা জাগান সোহানও। তবে তিনিও ফিফটি বঞ্চিত হন মাত্র ৪ রানের জন্য। ম্যাচসেরা হওয়া অধিনায়কের ৩০ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি ছয়ের মার। এর আগে অবশ্য শুন্য রানেই মাঠ ছাড়েন দলের অন্যতম তারকা সাকিব আল হাসান। এদিন ৪ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমেও ডাক মারেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তবে আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ১৪ বলে ২২ ও শামীম পাটোয়ারীর ৬ বলে ১০ রানের দুটি ক্যামিওতে চড়ে একশ ষাট ছাড়ানো ওই স্কোর পায় রংপুর।
সিলেটের বোলারদের মধ্যে সামিত প্যাটেল ও হ্যারি টেক্টর দুটি করে এবং এনগারাভা, রেজাউর রহমান রাজা ও আরিফুল হক একটি করে উইকেট পান।
নয়া শতাব্দী/এসআর/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ