ঢাকা, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মালিক-মিরাজ ঝড়ে বরিশালের জয়, প্রথম হার দেখল খুলনা

প্রকাশনার সময়: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৮

শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ৩৭ রান। ফরচুন বরিশালের জন্য এই সমীকরণ অনেক কঠিনই মনে হচ্ছিল ১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত। তবে ওই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ অনেকটাই সহজ করে ফেলেন শোয়েব মালিক।

যে কারণে শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৮ রানের। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দিলেন মেহেদী মিরাজ। এক বল পর স্ট্রাইক পেয়ে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে দুই বল হাতে রেখেই দলকে জিতিয়ে দেন মালিক।

সিলেটে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ১৯তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল।

শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে বিজয়ের খুলনা। রান তাড়ায় নেমে ২ বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।

এর ফলে এবারের আসরে টানা চার ম্যাচে জয়ের পর নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথমবার হার দেখলো খুলনা। তারপরও পাঁচ ম্যাচে ৪ জয় ও এক হারে শীর্ষেই আছে তারা। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে পাঁচে বরিশাল।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তেমন সুবিধা করতে পারেনি খুলনা। যদিও তৃতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারায় তারা। আকিফ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এনামুল হক বিজয়। ১৩ বলে ১২ রান করেন অধিনায়ক। এরপর তিনে খেলতে নেমে ৭ বলে মাত্র ২ রান করে রান আউট হন হাবিবুর রহমান সোহান।

যাতে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪২ রান করতে দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর দলকে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দুই তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু শোয়েব মালিকের করা নবম ওভারে টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা।

মালিক প্রথমে ২৪ বলে ৩৩ রান করা ইমনকে এলবিডব্লিউ করেন, পরের বলে নতুন ব্যাটার আফিফ হোসাইনকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন মিড উইকেটে। ৬১ রানে ৪ উইকেট হারানো খুলনার চাপ আরও বাড়ে তাইজুল ইসলাম এসে মাহমুদুল হাসান জয় ও দাসুন শানাকাকে ফেরালে।

অবশ্য শুরু থেকে ভুগতে থাকা খুলনা শেষের ঝড়ে কিছু রান পেয়ে যায় আরও। শেষ ৪ ওভারে তারা তুলতে পারে আরও ৬৭ রান। ২৪ বলের ওই জুটি গড়েন দুই পাকিস্তানি ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।

ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ বলে ৩২ রান করেন ফাহিম। এছাড়া ৪ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ।

বরিশালের পক্ষে ৩ ওভারে স্রেফ ৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দুই উইকেট নেওয়া শোয়েব মালিক ৪ ওভারে দেন ২৪ রান।

পরে রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। দ্বিতীয় ওভারেই নাহিদুলের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন আহমেদ শেহজাদ। তিন বল খেলে তখনও কোনো রান করতে পারেননি তিনি। নাহিদুলের করা পরের ওভারে অবশ্য ১৫ রান নেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার।

যদিও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি বরিশাল অধিনায়ক। ১৮ বলে ২০ রান করে আউট হন তিনি। একই পথে হাঁটেন সৌম্যও। দারুণ শুরুর পরও ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন ফাহিম আশরাফের বলে ক্যাচ দিয়ে।

যার ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ কঠিন হতে থাকে বরিশালের। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে গেলে সেটি আরও শঙ্কায় রুপ নেয়। ‍তবে মাত্র ২৩ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও শোয়েব মালিকে। একটি চার ও ৩ ছক্কায় মিরাজ ১৫ বলে ৩১ রান এবং ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। ম্যাচ সেরাও হন সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ