শুরুটা ভালো না হলেও আহমেদ শেহজাদ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং ঝড়ে শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় ফরচুন বরিশাল। জবাব দিতে নেমে কখনোই সেভাবে পথ খুঁজে পায়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। যার ফলে নিজেদের মাঠে বিপিএলের ১৬তম ম্যাচে বরিশালের কাছে ৪৯ রানে হেরে টানা পঞ্চম পরাজয় হজম করল মাশরাফির দল।

সিলেটে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতের ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ১৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট।

এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হারলো দলটি। অন্যদিকে, তিন ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় জয় পেয়েছে বরিশাল।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ফরচুন বরিশালের। ৮ বলে ২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল, আর ৫ বলে ১ রান করে আউট হন প্রিতম কুমারও। কিন্তু একপ্রান্তে ঝড় তোলেন আহমেদ শেহজাদ। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুয়ে ফেলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।

এক সময় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও শেষ অবধি সেটি পারেননি শেহজাদ। পাকিস্তানি এই মারকুটে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৬ রান করে ফেরেন বেনি হাওয়েলকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে। এরপর সৌম্য সরকার ১৭ বলে ২০ ও মুশফিকুর রহিম ১৯ বলে ২২ রান করে আউট হলে অনেকটা কিছুটা শঙ্কায় পড়ে তামিমের দল।

তবে একেকটি চার-ছক্কায় সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বরিশালের স্কোরকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বুড়িয়ে গেলেও যেন ঝাল কমেনি তার। মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। ৭টি চারের সঙ্গে দুই ছক্কায় শেষ অবধি অপরাজিত থেকে করেন ২৪ বলে ৫১ রান।

অপরাজিত থাকা আরেক ব্যাটার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১৫ রান। সিলেটের বেনি হাওয়েল একাই তিনটি উইকেট নিতে পারেন।

পরে রান তাড়ায় নেমে তেমন সুবিধাই করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে জাকির হাসানের ব্যাট থেকে। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৪ বলে ৪৬ রান করেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করতে ২৩ বল খেলেন শামসুর রহমান শুভ। এছাড়া দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও কম যাননি বেনি হাওয়েল, ১৯ বলে করেন ২৪ রান। তবে তাতে কেবল ব্যাবধানই যা কমেছে।

বরিশালের হয়ে ৪টি উইকেট নেন মোহাম্মদ ইমরান। এছাড়া দুটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদ। তবে ম্যাচ সেরা হন বুড়ো মাহমুদউল্লাহই।

নয়া শতাব্দী/এনএস