শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকার প্রথম পর্ব। ঢাকা পর্বে দিনের ম্যাচে রান না উঠলেও, বিস্তর রান হয়েছে রাতের ম্যাচে। তবে সিলেট পর্বে এই পরিস্থিতি খানিকটা ভিন্ন হওয়ার প্রত্যাশা সবার। সিলেটের স্পোর্টিং উইকেট বিপিএলকে কতখানি উপভোগ্য করতে পারে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
এদিকে, মিরপুরের পিচে রান ওঠে না- এমন কথার জবাব দেওয়ার রসদ অন্তত এখন আছে। দিনের ম্যাচে রান না উঠলেও, রান হয়েছে রাতের চার ম্যাচেই। ম্যাচগুলোও শেষ হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়েই।
তবে এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হতে পারে দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। এখন পর্যন্ত বিদেশি ক্রিকেটার কম হলেও, নিজেদের মধ্যেই বড় রকমের প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরী করেছেন দেশের ক্রিকেটাররা।
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত হওয়া ৮ ম্যাচের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচেই সেরা হয়েছেন দেশি ক্রিকেটাররা। বাকি যে তিন ম্যাচে বিদেশিরা সেরা হয়েছেন, সেখানেও দুর্দান্ত ছিলেন দেশের তরুণ বা অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
এবারের বিপিএলে প্রথম দিনেই ঢাকা-কুমিল্লার ম্যাচে ইমরুল কায়েসের ফিফটির সঙ্গে ছিল শরিফুল ইসলামের হ্যাটট্রিক। ঢাকার জার্সিতে দারুণ ফিফটি পান নাইম শেখও। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ১৭৭ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন সিলেটেরই সন্তান জাকির হোসেন। বিপরীতে চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন চট্টলার লোকাল বয় শাহাদাত হোসেন দীপু।
দ্বিতীয় দিনের আলো কেড়ে নেন দুই দেশি বোলার খালেদ আহমেদ এবং নাহিদুল ইসলাম। খালেদের ৪ উইকেটে ভর করে জয় পায় বরিশাল। আর খুলনার নাহিদুল ৪ উইকেট নিয়ে হারিয়ে দেন চট্টগ্রামকে। দুজনেই ছিলেন ম্যাচসেরা।
এদিকে, ঢাকার প্রথম পর্ব শেষে সেরা বোলারদের তালিকায়ও দেশিদের জয়জয়কার। সমান পাঁচটি করে উইকেট নিয়ে সেরা তিনে আছেন যথাক্রমে কুমিল্লার মুস্তাফিজ (২ ম্যাচ), ঢাকার শরিফুল (২ ম্যাচ) ও বরিশালের খালেদ আহমেদ (৩ ম্যাচ)।
সমান চারটি করে উইকেট নিয়ে এরপরেই আছেন যথাক্রমে খুলনার নাহিদুল (২ ম্যাচ), বরিশালের ওয়েল্লালাগে (৩ ম্যাচ) ও চট্টগ্রামের আল আমিন হোসাইন (৩ ম্যাচ)।
অন্যদিকে, ব্যাটিংয়েও এগিয়ে আছেন দেশিরাই। ১৫৬ রান নিয়ে সবার উপরে আছেন তিন ম্যাচ খেলা বরিশালের মুশফিকুর। দুই ম্যাচে ১১৮ রান নিয়ে দুইয়ে আছেন কুমিল্লার ইমরুল কায়েস। তিন ম্যাচে ১১৭ রান নিয়ে কায়েসের ঘাড়ে দম ফেলছেন চট্টগ্রামের বিদেশি ব্যাটার নজিবুল্লাহ জাদরান।
ঢাকা পর্বে এই তিন জনই মূলত একশ পার করেছেন। তিন ম্যাচে ৯৪ রান নিয়ে চারে আছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সমান ম্যাচে ৮৫ রান করে পাঁচে শাহাদাত হোসেন দীপু। আর দুই ম্যাচে ৭২ রান নিয়ে তাদের পরেই আছেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের সিলেট পর্ব, শেষ হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। পরে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরে শুরু হবে বিপিএলের ঢাকা দ্বিতীয় পর্ব।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ