একেই বুঝি বলে, ‘এলেন, খেললেন, জয় করলেন’! আর এ জন্যই বুঝি তিনি নম্বর ওয়ান ব্যাটার! বলছিলাম, বাবর আজমের কথ। লম্বা ভ্রমণক্লান্তি। রাতে এসে খানিকটা বিশ্রাম নেওয়ার পরই মাঠে নেমে পড়েন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলের ভার একাই টেনে নিলেন এই ব্যাটার। স্বল্প লক্ষ্যেও ধুঁকতে থাকা রংপুর রাইডার্সকে জেতালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে সিলেট। ওই রান তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ৩৯ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রংপুর। তবে শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখেই জয় পায় সোহানের দল।
এদিন টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৩ বলে ৫ রান করে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। এদিন তিনে নেমে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আগের ম্যাচে বল হাতে সুবিধা করতে না পারা সিলেট অধিনায়ক আজ ব্যাট হাতেও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৭ বলে ৬ রান করে রান আউট হন তিনি। ক্রিজের কাছে পৌঁছে গেলেও ব্যাট মাটিতে ফেলেননি ম্যাশ।
এরপর রীতিমতো ধ্বস নামে সিলেটের ইনিংসে। ৮ ওভার ২ বলেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা, তাদের রান তখন ৩৯। এরপর দলের হাল ধরেন দুই বিদেশি বেনি হাওয়েল ও বেন কাটিং। দুজন মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।
৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৩৭ রান করেন হাওয়েল, সমান রান করতে কাটিং খেলেন ৩৫ বল। তাদের দুজনকেই আউট করেন রিপন মণ্ডল, দুই উইকেট নিতে ৩ ওভারে ১৯ রান খরচ করেন এই তরুণ। অন্যদিকে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মাহেদী হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেট পান হাসান মুরাদ ও মোহাম্মদ নবী।
রান তাড়ায় নেমে এদিন যেন শুরুতেই পথ হারিয়ে ফেলে রংপুর রাইডার্স। ৭ বলে ৬ রান করে এনগারাভার বলে রনি তালুকদারের ফেরা দিয়ে শুরু হয়। এরপর তিনে খেলতে নেমে ডাক মারেন ব্রান্ডন কিং, ৫ বলে কোনো রান না করা এই ব্যাটার বোল্ড হন নাজমুল ইসলাম অপুর বলে।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তানজিম হাসান সাকিবের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৭ বলে ৮ রান। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা রংপুরের জন্য রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে আসেন দুশান হেমন্থ। এই লেগ স্পিনারের মায়াবী ছোবলে রীতিমত দিশেহারা হয়ে যায় রংপুর।
পাওয়ার প্লের ঠিক পরের ওভারে এসে শামীম হোসাইন, মোহাম্মদ নবী ও মাহেদী হাসানের উইকেট নেন তিনি, তিনজনই হন এলবিডব্লিউ। তবুও আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন বাবর আজম।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে ছাড়েন মাঠ। ৪৯ বলে ৬ চারে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। ওমরজাই খেলেন ৩৫ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন দুসান হেমন্ত। একটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাবা, তানজিম হাসান সাকিব ও নাজমুল ইসলাম।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ