সাকিব-তামিম ইস্যুতে মাঠের বাইরে নানান তর্ক-বিতর্ক থাকলেও আজ ২২ গজে দাপট দেখালো তামিম ইকবালের দল। ফরচুন বরিশালের বোলিং দাপটে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান জড়ো করতে পেরেছে সাকিব-সহানদের রংপুর।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ ইরফান। পাকিস্তানি এই বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্রান্ডন কিং। প্রথম বলে উইকেট হারালেও পরের ৫ বলে ১৩ রান তুলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা চালায় রংপুর।
তবে দ্বিতীয় ওভারে আবারও ধাক্কা খায় রংপুর। এবার সৈয়দ খালেদ আহমেদের ফাঁদে পা দেয় দলটি। ডানহাতি এই পেসারের অফ-স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিকে উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন রনি তালুকদার। কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় টপ-এজ হয়ে থার্ডম্যানে ধরা পড়েন তিনি। মাত্র ৫ রানেই থেমে যায় এই ওপেনারের যাত্রা। একটু পরে সাকিবকেও ফেরান খালেদ। মাত্র ২ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এরপর রাইডার্সদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন সোহান ও ওমরজাই। তবে এই জুটিকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে দেননি দুনিথ ওয়াল্লালাগে। লঙ্কান এই স্পিনারকে মিড-অফে খেলতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওমরজাই।
এতেই পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারানো রংপুরকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন শামীম পাটোয়ারী ও সোহান। এই দুই ব্যাটার চেষ্টা করলেও খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি তাদের জুটি। শোয়েব মালিকের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে ব্যক্তিগত ২৩ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রংপুর দলপতি। এরপর মিরাজের ঘূর্ণিতে মোহাম্মদ নবি ফেরেন ১০ রানে।
শেষদিকে শামীম পাটোয়ারী ৩৩ বলে ৩৪ ও শেখ মাহেদী ১৯ বলে ২৯ করলে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে পৌঁছে রংপুর। বরিশালের হয়ে পেসার খালেদ আহমেদ একাই নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া মিরাজ নেন ২টি উইকেট।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ