এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে এবার বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ। শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে দেশ ছেড়েছে যুবারা।
রোববার দিবাগত রাত ১টার ফ্লাইটে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে যুব বিশ্বকাপের আসর।
‘এ’ গ্রুপে থাকা যুবাদের প্রাথমিক গন্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ। সেখান থেকে তারা যাবে পচেফস্ট্রুমে। যেখানে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ১২ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বিদের।
তারপর সেখান থেকে যুবারা যাবে ব্লুমফন্টেইনে। যেখানে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। একই মাঠে বাংলাদেশ তাদের পরের দুই ম্যাচে ২২ জানুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে।
নতুন ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এবার প্রতি গ্রুপ থেকে পরের ধাপ অর্থাৎ সুপার সিক্সের টিকেট পাবে তিনটি করে দল। সেই ধাপের লড়াইও হবে গ্রুপ পর্বে। ‘এ’ ও ‘ডি’ গ্রুপের তিনটি এবং ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রুপের তিনটি করে দল নিয়ে করা হবে আলাদা দুটি গ্রুপ। এই দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে মোট চার দল উঠবে সেমি-ফাইনালে।
প্রাথমিকভাবে এই আসর হওয়ার কথা ছিল শ্রীলঙ্কায়। তবে দেশটি আপাতত আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে বেছে নেওয়া হয় আয়োজক হিসেবে।
স্বাগতিক বদলালেও তা নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। শনিবার মিরপুরে বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের সময় অধিনায়ক রাব্বি বলেন, “আমার মনে হয় না, কোনো কিছু তেমন কঠিন হবে। (এশিয়া কাপে) ভারতের বিপক্ষে সেমি-ফাইনাল ম্যাচের উইকেট (আরব আমিরাতের) আর দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট অনেকটা একইরকম। আমার মনে হয় না, এটা তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ। একটা ম্যাচ খেললেই আর চাপ আসবে না।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালেও বসেছিল যুব বিশ্বকাপের আসর। সেবার আকবর আলীর নেতৃত্বে প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র এই ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। একই দেশে আরেকটি বিশ্ব আসর শুরুর আগে বড় সাফল্যের আশাই দেখালেন অধিনায়ক রাব্বি।
বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, “আমাদের আত্মবিশ্বাস অবশ্যই আছে। দলের অবস্থাও ভালো। আশা করি, আমরা যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমি শতভাগ সন্তুষ্ট। আমাদের দলের খেলোয়াড়রা আমাকে অনেক সহায়তা করছে। কোচ থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করে আমার কাজ সহজ করে দিচ্ছে।”
রাব্বি ছাড়াও এবারের স্কোয়াডে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন শেখ পারভেজ জীবন, আরিফুল ইসলাম, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। নির্বাচক হান্নান সরকারও দল ঘোষণার সময় বলেছেন, দলের প্রধান শক্তি অলরাউন্ডাররাই।
এছাড়া ব্যাটিংয়ে এশিয়া কাপে সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন আশিকুর রহমান শিবলী। পাঁচ ইনিংসে দুটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি হাঁকিয়েছেন এই ওপেনার। নিয়মিত রান পেয়েছেন আরিফুল, রিজওয়ানরাও। বল হাতে মারুফ মৃধা, রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণরা কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন প্রতিপক্ষের।
সব মিলিয়ে দল হিসেবে দারুণ অবস্থায় বাংলাদেশ। এবার বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে আরেকবার প্রয়োজন এশিয়া কাপের মতো দলগত পারফরম্যান্স।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ