কয়েক বছর ধরেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ ছিল উন্নতির দিকে। তবে ২০২৩ শেষে সেটা নিম্নমুখী। সদ্য সমাপ্ত বছরটিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সুবিধা করতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। এমনকি বিশ্বকাপে নিজেদের মানের ক্রিকেটও খেলতে পারেনি তারা।
তবে বাকি দুই ফরম্যাটে তুলনামূলক ভালো খেলেছে টাইগাররা। ভালো-খারাপ মিলিয়ে ২৩ পার করা বাংলাদেশের সামনে নতুন বছরে থাকছে বড় চ্যালেঞ্জ।
নতুন বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসর ছাড়াও আছে বেশকিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। গত বছরে মাত্র ৪টি টেস্ট খেলা বাংলাদেশ দল এ বছরে সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলবে ১৪টি। অন্যদিকে মাত্র ৯টি ওয়ানডের বিপরীতে টি-টোয়েন্টি খেলেবে ২১টির বেশি। যেখানে ২০২৩ সালে ৩২ ওয়ানডের বিপরীতে ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পায় টিম টাইগার্স।
তবে এ বছরে টেস্ট ম্যাচ অনেক বেশি থাকায় সব মিলিয়ে টানা খেলার মধ্যে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। তাই মানসিক চাপ সামলানোর পাশাপাশি শারীরিকভাবে ফিট থাকাটাও হতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ।
চলতি বছরের শুরুতেই থাকছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় আর ব্যয়বহুল ঘরোয়া আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আসন্ন আসরের সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। আগামী ১৯ জানুয়ারী থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরের পর্দা নামবে ১ মার্চ।
বিপিএল শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। ফেব্রুয়ারী-মার্চে লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে টাইগাররা। দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে দুই দল।
এরপর এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি আছে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে তাদের বিপক্ষে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ থাকছে না।
জুনে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসতে যাওয়া এই আসরে আগেই জায়গা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মূলত র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে সরাসরি এই মেগা আসরে অংশ নিচ্ছে টাইগাররা।
জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। পাশাপাশি আফগানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি টেস্টও খেলবে টাইগাররা। তবে সিরিজটি হতে পারে আরব আমিরাতে। হোম ভেন্যু হিসেবে আপাতত সেখানেই ম্যাচ খেলে আফগানিস্তান।
আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে শুধুমাত্র ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে। কোনো ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নেই।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে দুই ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজের পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে টাইগাররা। তবে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই সূচিতে।
অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঘরের মাঠের এই সিরিজে প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও কেবল ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। সীমিত ওভারের কোনো ম্যাচ নেই।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে বাংলাদেশ। এ সফরে সমান ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। তাছাড়া ২ ম্যাচের একটি টেস্ট সিরিজও রয়েছে সূচিতে।
এগুলোই মোটামুটি নির্ধারিত সূচি। তবে আলোচনা সাপেক্ষে ম্যাচ আরও বাড়তেও পারে বলে জানা গেছে বিসিবি সূত্রে।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ