আর মাত্র একদিন পরেই শুরু হবে নতুন বছর। ২০২৩ সাল বাংলাদেশি নারী দলের ভালোই কেটেছে। প্রতিদানে বছরজুড়ে আলো ছড়ানো নিগার সুলতানা জ্যোতি, ফারাজানা হক ও নাহিদা আক্তাররা পুরস্কারও পেয়েছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান উঠে এসেছেন ফারজানা ও নাহিদা।
এর আগে বছরের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়ে একাদশ বাছাই করল ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফো। ছেলেদের ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটের বর্ষসেরা একাদশে বাংলাদেশের কেউ জায়গা না পেলেও মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে একজন জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি হলেন বাংলাদেশের স্পিনার নাহিদা আক্তার। এ বছর সবমিলিয়ে ২০টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। বোলিং গড় ১৬.৩।
এবছর ছেলেদের ক্রিকেটে বলার মতো সাফল্য কম পেলেও মেয়েদের ক্রিকেটে বেশ সুসময় ছিল বাংলাদেশের। গত জুলাইয়ে ঘরের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকাতে ঐতিহাসিক জয়ের মুখ দেখেছে মেয়েরা। দলের এমন সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন নাহিদা। এর আগে আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
দক্ষিণ এশিয়া থেকে বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে নাহিদার সঙ্গে আছেন শুধু শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। লঙ্কান এই ওপেনার এ বছর ৬৯.১ গড়ে ৪১৫ রান করেছেন। দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইন। এ বছর এই অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে ৪৩.২ গড়ে ৩৪৬ রান করার পাশাপাশি ২০.৩ গড়ে ১২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। দলের উইকেটকিপার অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি। ব্যাট হাতে ৭৭.৪ গড়ে ৩৮৭ রান করার পাশাপাশি এ বছর ৬টি ক্যাচ ও ১টি স্ট্যাম্পিংয়ে নাম লিখিয়েছেন তিনি।
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে দল: চামারি আতাপাত্তু, বেথ মুনি (উইকেটকিপার), সোফি ডিভাইন (অধিনায়ক), অ্যামিলিয়া কের (নিউজিল্যান্ড), নাট শিভার-ব্রান্ট (ইংল্যান্ড), মারিজান কাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা), অ্যাশলে গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া), অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া), নাদাইন ডি ক্লার্ক (দক্ষিণ আফ্রিকা), নাহিদা আক্তার (বাংলাদেশ), এবং লিয়া তাহুহু (নিউজিল্যান্ড)।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ