বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে কত কি না করতে দেখা যায়। বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে ছাদ খোলা বাসে ঘোরা, রং বেরঙে আনন্দ-উল্লাসে সে দেশের পুরো শহর রঙিন হয়ে ওঠে। অথচ অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতলেও তাদের বরণে নেই কোনো মহা আয়োজন। এমনকি তাদের ফুল দিয়ে বরণ করতেও দেখা যায়নি।
ফাইনালের আগে গণমাধ্যমের খবরে বেরিয়েছিল, ভারতের মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা চলছে আর বিশেষ দোয়া মোনাজাত হচ্ছে মোহাম্মদ শামিদের গ্রামে।
ফাইনালে প্রায় লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছিল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গের পর ভারতীয় এক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক যথার্থই বলেন, শতাব্দীর সবচেয়ে জৌলুসভরা বিয়ে বাড়িতে খরচা করে প্লেনের টিকিট ফিকিট কেটে যদি শ্রাদ্ধের নেমন্তন্ন খেয়ে ফেরত আসেন তাহলে কেমন লাগবে?
শুধু ভারত কেন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা কিংবা এশিয়ার যে কোনো দেশের ক্ষেত্রেই ক্রিকেট কিংবা খেলা নিয়ে উন্মাদনার চিত্রটা একই। যদিও এই দেশগুলোর বিশ্বমঞ্চে সফলতা যেন দূর অতীত। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে তাও এক যুগ আগে। পাকিস্তানতো ভুলেই যাচ্ছে কবে জিতেছে। পুর্নজন্ম হওয়া শ্রীলঙ্কা খাবি খাচ্ছে। আর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সাত বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও এখনও শুধু শিখেই যাচ্ছে। কিন্তু এই দেশগুলোর সমর্থকরা কিন্তু চ্যাম্পিয়ন।
আর ঠিক বিপরীত গল্পটা রেকর্ড ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার জন্য। ভারতে সফল বিশ্বকাপ অভিযান শেষে আজ সকালে দেশে ফিরেছে চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সসহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। কিন্তু তাদের বরণে তেমন কোনো আয়োজন কিংবা ব্যস্ততা দেখা যায়নি মেলবোর্নের বিমানবন্দরে।
গুটিকয়েক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন হয়তো পেশার খাতিরে! এমনকি স্রেফ ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার মতোও কিছু দেখা গেল না। কামিন্সদের দেশে ফেরার সাদামাটা অমন ছবি এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য বিশ্বকাপজয়ী পুরো দল এখনই দেশে ফিরতে পারছে না। ফাইনালের নায়ক ট্র্যাভিস হেডসহ একাংশ থেকে গেছেন ভারতে। আগামীকাল (২৩ নভেম্বর) থেকে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ