শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

আফগানদের হারিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশনার সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ২২:৪০ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ২২:৫৩

নিয়মরক্ষার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে প্রোটিয়াদের ব্যাটিংয়ের সামনে আর পেরে উঠেনি তারা। ১৫ বল থাকতেই আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিতে পা রাখলো দক্ষিণ আফ্রিকা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেন প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার বাভুমা ও ডি কক। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৫৭ রান সংগ্রহ করে দলটি। তবে এই জুটিকে দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারেননি। ইনিংসের ১১তম ওভারে ২৮ বলে ২৩ রানে থাকা বাভুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রিস্ট স্পিনার মুজিব।

প্রোটিয়া অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই ফেরেন ডি-ককও। তাকে লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন নবি। ডি-ককের বিদায়ে কিছুটা বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। এরপর বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলেন ভ্যান ডার ডুসেন ও মারকরাম। ৬০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ১১৬ রানে ২৫ রান করা মার্করামকে সাজঘরে ফেরান রশিদ খান। এরপর ক্লাসেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ১০ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। শেষ দিকে ফেলুকায়োর ৩৭ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও এবং ডুসেনের অপরাজিত ৭৬ রানে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরস্থির হলেও আস্তে আস্তে রানের গতি বাড়াতে থাকে আফগানরা। ওপেনিং জুটিতে ৪১ রান তুললেও ৪৫ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রশিদ-নবিরা। এরপর অল্প রানের মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাও জেগেছিল। তবে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে আজমত ও রহমত শাহ মিলে ৪৫ রান যোগ করেন। এরপর ৪৬ বলে ২৬ রানে ফেরেন রহমত। তবে এরপর ক্রিজে নেমে খুব বেশি সময় থিতু হতে পারেননি ইকরাম আলি। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। এরপর মাত্র ২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ নবি।

দুর্দান্ত শুরু করলেও ১৪ রানেই থেমেছেন রশিদ খান। তবে আজমতকে সঙ্গ দিয়ে ৩২ বলে ২৬ রানে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন নূর আহমেদ। অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। এরপর ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন মুজিব। শেষ পর্যন্ত নাভিনকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার লড়াইয়ে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ১০৬ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন আজমত।

প্রোটিয়াদের বল হাতে জেরাল্ড কোয়েটজি চারটি, লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ দুটি করে এবং আন্দিলে ফেহলুকায়োর এক উইকেট শিকার করেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ