বিশ্বকাপে ২০ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারেনি নিউজিল্যান্ড। অপরাজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রাখার লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের। আর বিগত ২০ বছরের রেকর্ড ভাঙতে বদ্ধ পরিকর প্রোটিয়া। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০০৩ সাল থেকে বিশ^কাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটানা জয় নিউজিল্যান্ডের। ওয়ানডে বিশ্বকাপের ৩২তম ম্যাচে আজ পুনেতে বেলা আড়াইটায় মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই নিয়ে ৯ বার দেখা হচ্ছে তাদের।
এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ফেভারিটের তালিকায় ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ সেই দলটাই এখন বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। বিশ্বকাপ জয়ে নিজেদের সম্ভাবনাকে আরো উঁচুতে তুলে ধরতে আজ বুধবার আর এক ফেভারিট নিউজিল্যান্ডে মুখোমুখি তারা। পুনেতে বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচটি।
দুটো দলই এরই মধ্যে সেমিফাইনাল খেলার পথে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে প্রোটিয়ারা ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে কিউইরা। আগেভাগে সেমিফাইনালের পথ নিশ্চিত করতে প্রোটিয়ারা যেমন জয়ের জন্য উম্মুখ হয়ে আছে, তেমনি কিইউরাও। পা যেনো পিছলে না যায় সে বিচারে নিউজিল্যান্ডের জন্য জয় খুবই প্রয়োজন।
দূর্দান্তভাবে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকার পচা শামুকে পা কেটেছে। নেদারল্যান্ডসের কাছে যাচ্ছেতাইভাবে বিধ্বস্ত হয়। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের শুরুটাও ছিল দারুণ। টানা চার ম্যাচ জয়ের পর পথ হারিয়েছে। টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল ভারতের কাছে হেরেছে তারা। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার কাছেও।নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ৭১বার মুখোমুখি হয়েছে। স্পষ্ট আধিপত্য প্রোটিয়াদের। নিউজিল্যান্ডের ২৫ জয়ের বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের সংখ্যা ৪১। এ পরিসংখ্যান আজকের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার আশাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।
কিন্তু যদি শুধু বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বিবেচনা করা হয় তাহলে প্রোটিয়ারা লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা পায় না। আট ম্যাচের ছয়টিতে জয় কিইউদের। এখানে শেষ নয়, সর্বশেষ টানা পাঁচ আসরে কিইউরা আধিপত্য করেছে। সর্বশেষ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর প্রতিবারই হারের লজ্জায় ডুবতে হয়েছে প্রোটিয়াদের।প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা ইনজুরির কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি। আজ সম্ভবত একাদশে তাকে দেখা যেতে পারে। রাবাদা ফিরলে দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচকদের একটা জটিল সমস্যায় পড়তে পাবে। জেরাল্ড কোয়েতজে এবং তাবরাইজ শামসি- এদের যে কোনো একজনকে সরে যেতে হবে। পিচ দেখার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন তারা।
নিউজিল্যান্ড দলে ইনজুরি সমস্যা রয়েছে। তবে তারা ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছে। লকি ফার্গুসন গোড়ালির ইনজুরির কারণে সরে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ওভার বোলিং করেছেন। কাফ ইনজুরি থেকে মুক্তি পেয়েছেন মার্ক চাপম্যান। আঙ্গুলের সমস্যা থেকে টিম সাউদিও মুক্ত। তিনি এখন দলে ফেরার জন্য প্রস্তুত। কেন উইলিয়ামসন অনুশীলন শুরু করেছেন, তবে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
নয়াশতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ