বেঁচে আছেন জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের দলের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় পত্রিকা ‘মিড ডে’।
পত্রিকাটি স্ট্রিকের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বেঁচে আছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার। নিজের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়াকে দুঃখজনকও বলেছেন স্ট্রিক।
হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় স্ট্রিক মিড ডেকে বলেন, এটা গুজব। আমি জীবিত আছি, ভালোই আছি। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এত বড় একটা খবর কারও কাছ থেকে নিশ্চিত না হয়েই কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয় যে সূত্র এই খবর ছড়িয়েছে, তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
স্ট্রিকের আরেক সাবেক সতীর্থ রেমন্ড প্রাইস তো আজ বুধবার সকালে স্ট্রিকের বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। স্ট্রিক যে ভালো নেই, সেই ছবিতে সেটি স্পষ্ট।
১৯৯৩ সালে ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্ট্রিকের দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল। এর পরে জিম্বাবোয়ের হয়ে ১৮৯টি ওয়ানডে এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। জিম্বাবোয়ের সাবেক অধিনায়কও ছিলেন হিথ।
লাল বলের ক্রিকেটে ২২.৩৫ গড়ে ১৯৯০ রানের রেকর্ড করেছেন এবং খেলার দীর্ঘতম এই ফরম্যাটে ২৮.১৪ গড়ে ২১৬ উইকেট নিয়েছেন এই জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি । এবং সাদা বলের ক্রিকেটে ২৯৪৩ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ২৩৯টি উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে।
অন্যদিকে টেস্টে ১০০ আর ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট নেয়া একমাত্র জিম্বাবুইয়ান বোলারও তিনিই। চলতি শতকের শুরুর দিকে তিনি অধিনায়কত্ব করেন জিম্বাবুয়ের, যখন ক্রিকেটারদের একটা বড় অংশ বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির কারণে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন।
২০০৪ সালে অধিনায়কত্ব ছাড়ার এক বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন মাত্র ৩১ বছর বয়সে। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেন এই কিংবদন্তি।
ক্রিকেটীয় জীবন শেষে মন দিয়েছিলেন কোচিংয়ে। ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে ছিলেন তিনি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন হিথ স্ট্রিক। জিম্বাবুয়ের হয়েও একাধিকবার কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঝে কলকাতা নাইট রাইডার্স, সমারসেটের মতো দলেরও কোচ বনেছিলেন স্ট্রিক।
নয়াশতাব্দী/জেডএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ