ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিশ্বকাপে হেরেও বিজয়ী মরক্কো

প্রকাশনার সময়: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:১৪ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ২১:২০

‘শৃঙ্খল ছাড়া আমাদের হারানোর কিছুই নেই, জয় করার জন্য আছে সারা পৃথিবী।’ শ্রমিকরাজ সম্পর্কে কথাটি বলেছিলেন কার্ল মার্কস। কথাটাকে বিশ্বকাপ ফুটবলের ছকে ফেললে অনায়াসেই বলা যাবে, নতুন করে রূপকথা লেখা মরোক্কান দলেরও কাতার বিশ্বকাপে হারানোর কিছু নেই।

‘মরোক্কান গার্দিয়ালা’ নামে পরিচিত ওয়ালিদ রেগরেগুই তার হাতে গড়া দলটাকে এতটা ওপরে নিয়ে গেছেন, হিমালয়ের গর্বিত শিখরও তাতে ম্লান হয়ে যেতে পারে। তাই হেরেও মরোক্কান দল আরববিশ্বে ও আফ্রিকায় বীরের মতোই পূজিত হচ্ছে। কারণ কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আশরাফ হাকিমিরা ভাগ্যের জোরে ওঠেনি, যোগ্যতা দিয়েই প্রতিটি ম্যাচ কিনে নিয়েছে। কেউ তাই তাদের হারকে ‘করুণ বিদায়’ বলেনি। বরং অভিনন্দন জানিয়েছে প্রাণ খুলে।

ক্যাসাব্ল্যাঙ্কার অধিবাসী ওসামা আবদুহ বলেন, ‘হাকিমিরা তো দুর্দান্ত ফাইট দিয়েছে। শুধু ভাগ্যটাই আজ তাদের পাশে ছিল না। আমাদের সবাই গোনায় ধরতে বাধ্য হয়েছে, এটা অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয় মনের মধ্যে। ফুটবলের বিশ্ব মানচিত্রে আমরা যে আর নমশূদ্র নই। দলের জন্য আমার মাথাটা শ্রদ্ধায় বারবার নত হয়ে যায়।’

তবে আফসোস ঝরে পড়েছে হাকিম সালামার কণ্ঠে, ‘আমরা শতাব্দীর একটা সেরা সুযোগ মিস করলাম।’ এমনিতেই বুধবার সন্ধ্যায় মরক্কোর রাজধানী রাবাতের অলিগলি বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। অ্যাটলাস লায়নদের নিয়ে গ্যালারিতে যতটা উত্তাপ ছিল, ততটা উচ্ছ্বাস থাকার মতো পরিবেশ ছিল না রাবাতে। ক্যাসাব্ল্যাঙ্কার দার্ব সুলতান জেলার ফুটপাতের হকার রশিদ সাবিক ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে জাতীয় দল একের পর এক মিরাকল দেখিয়েছে।’

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ