ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাত বাড়তেই ‘ইমো’তে জমে রমরমা হাট!

প্রকাশনার সময়: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ২০:১২

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এছাড়াও ইমো ব্যবহার করে প্রতারণার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। আপত্তিকর ভিডিও রেকর্ড করে ব্লাকমেইল করার বিস্তর অভিযোগও রয়েছে ইমোতে অবৈধ যৌন ব্যবসার ফাঁদ পাতা ওইসব গ্রুপের বিরুদ্ধে।

এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, অবৈধ এই যৌন ব্যাবসা চালাতে ইমোতে সক্রিয় রয়েছে একাধিক গ্রুপ। রাত ১২ টা বাজলেই শুরু হয় ওই চক্রের অবৈধ এই কর্মকাণ্ড। ইমোতে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে সেখানে দেহপসারিনীদের নগ্ন ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সরাসরি নিলামের মধ্যমে ওই সকল মেয়েদের কিছু সময়ের জন্য কিনে নিতে পারেন যে কেউ। নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বরে টাকা দিলেই মেলে পছন্দ মত সঙ্গী।

প্রবাসীদের অনেকেই দেশে থাকা স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোনের অ্যাপ ‘ইমো’ ব্যবহার করেন। তাদের একটি বড় অংশ প্রযুক্তি বিষয়ে ততটা ওয়াকিবহাল নন। এমন ব্যক্তিদেরই খুঁজে বের করে চক্রের সদস্যরা। দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইমো প্রতারক চক্র। এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিনদিন বেড়েই চলেছে প্রতারক চক্রের দৌরাত্ম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনলাইনভিত্তিক ওই গ্রুপগুলো বাসায় বা ফ্ল্যাট এবং হোটেলে যৌনকর্মী সরবরাহ করার কথাও বলছে। এমনকি শতভাগ গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ করার নিশ্চয়তাও দেওয়া হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় ওই পেজ ও ওয়েবসাইটগুলো কে বা কারা পরিচালনা করছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি।

ওইসব গ্রুপের ইনবক্সে ‘হাই বা হ্যালো’ বললেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ফিরতি বার্তা আসে। উত্তর দিলেই শুরু হয় দরদাম। ‘বাসায় কি একা? অস্থির লাগছে? কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্র? স্ত্রী কাছে নেই অথবা বিদেশে? তুমি কি আমার শরীর চাও? ইত্যাদি বার্তায় দেওয়া হয় টোপ।

এক ইমো যৌনকর্মী জানান, ‘রাস্তায় খাড়াইলে দালালগো টাকা দেওন লাগে। পুলিশ আইস্যা ঝামেলা করে। কিন্তু আমার এক বান্ধবী আমারে একটা ইমো আইডি করে দিছে। ওহানে ইচ্ছামতো কিছু লিইখা দিলে কাস্টমার পাওন যায়। আমার ওই বান্ধবী ইমো আরও কিসের যেন গ্রুপ বানাইছে। ওহান থেইক্যাও কাস্টমার পাওন যায়।’

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শিব্বির আহমেদ জানান, অনুমতি ছাড়া অনলাইনে শারীরিক সম্পর্কের জন্য খদ্দের খোঁজা কিংবা যৌন ব্যবসা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। দণ্ডবিধি, সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল, পুলিশ কমিশনারের অধীনে এ ধরনের অপরাধের মামলা ও বিচার করা যায়। অপরাধ প্রমাণিত হলে বিচারিক হাকিম দণ্ড দিতে পারেন। সাজার মেয়াদ অপরাধের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ