ফেসবুকে কিছু পোস্ট ও কমেন্ট দেখছি। এসব পোস্টের সারমর্ম হচ্ছে, সাতটি দেশের মধ্যে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেয়েদের নিয়ে যত মাতামাতি ১১১ টা দেশের মধ্যে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়া সালেহ আহমদ তাকরিমকে নিয়ে এত মাতামাতি নেই কেন?
প্রথমত দুইটা দুই বিষয়। একটার সাথে আরেকটাকে মেলানো ঠিক না। দ্বিতীয়ত সাফ ফুটবলে অংশ নেয়া মেয়েরা যেমনি ভাবে এ দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে, একই ভাবে কোরআন তেলাওয়াতের বিশ্ব আসরে তৃতীয় হয়ে তাকরিমও আমাদের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। তারা সবাই এদেশের উজ্জ্বল সন্তান।
আজ দিনভর ঘুরে ফিরে ঐ আসরে তাকরিমের তেলাওয়াত করা সুরা আর রহমান শুনছিলাম। আহা কি সুললিত কন্ঠ, কি তুখোড় উচ্চারণ। অন্যদিকে ফেসবুকে বারবার চোখ আটকে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের একটা মেয়ে (সম্ভবত কৃষ্ণা) বল নিয়ন্ত্রনে রেখে কি চমৎকারভাবে ঘুরে প্রতিপক্ষকে চমকে দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গেলো! রুপনা গোল পোস্টে দাড়িয়ে কি দারুণভাবে বল আটকে দিচ্ছে। আমাদের সামাজিকতার বাধা, সামর্থের বাধা টপকে মেয়েদের দলটির এই সাফল্য অত্যন্ত দুরূহ অর্জন।
কেউ কেউ তাকরিমকে সংবর্ধনা দিতে ধর্ম মন্ত্রনালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আমিও এ দাবির প্রতি সমর্থন জানাই। এটা হতেই পারে। অসুবিধা কোথায়? তবে আমি বিরোধী অতি উগ্রবাদী মানসিকতার। তাকরিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে যারা দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা নারী ফুটবল দলকে কটাক্ষ করছেন তাদেরও বিরোধী আমি। আবার মেয়েদের সাফল্যে উল্লসিত হয়ে টুপি দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে ফুটবল মারার কার্টুনটি যারা বানিয়েছেন তাদেরও ধিক্কার জানাই।
লেখকঃ গণমাধ্যমকর্মী
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ