অসদাচরণে কবে কোন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী। রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে দেন গোলাম রাব্বানী। পাঠকদের জন্য গোলাম রাব্বানীর সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
টিকিট ছাড়া রেলের এসি কেবিনে ভ্রমণ করা যাত্রীদের সাথে টিটিই অসদাচরণ করেছেন, এমন অভিযোগে রাতে দরখাস্ত দাখিল আর সকালেই কঠিন একশন! সরাসরি বরখাস্ত, সেটাও আবার সরকারি ছুটি চলাকালীন সময়ে! এমন নজিরবিহীন জনদরদী, জনবান্ধব রেল কর্তৃপক্ষ পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য, পরম সৌভাগ্যবান!
আচ্ছা, সেবা নিতে আসা জনসাধারণের সাথে 'অসদাচরণ' এর দায়ে সর্বশেষ কবে কোথায় কোন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, কারো জানা থাকলে জানাবেন।
অধ:স্তন দ্বারা 'অসদাচরণ' এর শিকার হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি, এমন অভিজ্ঞতা থাকলেও জানতে চাই। আর সত্যিকার অর্থেই যদি জনসাধারণের সাথে 'অসদাচরণ' এর দায়ে বরখাস্ত সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার প্র্যাকটিস থাকতো, তাহলে কোন ডিপার্টমেন্টের কত ভাগ জনবল শাস্তির আওতায় পড়বে বলে মনে করেন?
নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ