ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবার কীভাবে সমাজে মুখ দেখাবে তাই মুখ খুলেননি

প্রকাশনার সময়: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:১২
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।

ফেসবুকের পোস্টে ফারিয়া লিখেন, ‘মৃত মেয়েটার ছবি দেখার পর বার বার আমি দের/দুই বছর পিছনে ফিরে যাচ্ছিলাম। মনে পরছে কিভাবে আমি দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙ্গা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কি হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পরে ব্যাথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যাথা পেয়েছি!

কারন আমি জানতাম এই মানুষটার সাথেই থাকতে হবে, নাইলে মানুষ কি বলবে! আমার মা সমাজে মুখ দেখাবে কিভাবে! আমার দুই বোন যে স্বপ্ন নিয়ে এতো আয়োজনের প্ল্যান করছে তাদের কি জবাব দিবো!

কাবীনের ৩ মাস না যেতেই এতো কিছু! নিশ্চই সমস্যা আমারই!

আমি এইটা ভেবে দিনের পর দিন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে, রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি!

বার বার ভেবেছি কিছু হলে সবাই আমাকেই খারাপ বলবে!

কিন্তু আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কি বলে তার চেয়ে নিজের ভাল থাকা আরোও অনেক জরুরী!

জোড় করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরী!!!

#say_no_to_domestic_violance'

কণ্ঠশিল্পী লোপা হোসাইনের ফেসবুক একাউন্টে দেয়া একটি পোস্ট শেয়ার করে কথাগুলো লিখেছেন শবনম ফারিয়া। লোপা হোসাইন ওই পোস্টে লিখেন, 'সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স দিলে কতনা গালি খেত এলমা মেয়েটা। সহ্য করতে করতে মরে গেল বলেইনা এখন আমরা মায়াকান্না কাঁদছি...

এদেশের বাবামায়েরা সমাজে মানইজ্জত বাঁচাতে মেয়েদের এমনভাবে ব্রেইনওয়াশ অথবা ব্ল্যাকমেইল করে যে ডিভোর্স দিয়ে লাইফের রিস্টার্ট বাটন চাপার চেয়ে পাওয়ার অফ বাটন চেপে দেয়াই বেশী সহজ মনে হয়। আর তার আগেই যদি স্বামী, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেরে ফেলে, তাহলে তো কথাই নেই... এইসব ঘটনা দেখলে নিজের অজান্তেই নিজের অতীতে ফিরে যাই...

নয়া শতাব্দী/এমআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ