ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

মায়ের দোয়ায় কাবার ইমাম হলেন যিনি

প্রকাশনার সময়: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:২৪

শায়খ আদিল কালবানী (সাল্লামাহু তায়ালা), প্রাক্তন ইমাম, মসজিদ আল-হারাম। তিনি লন্ডনের এক কনফারেন্সে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য এক ঘটনার বর্ণনা করেন। সেই ঘটনার মধ্যে রয়েছে আমাদের জন্য এক বিশেষ শিক্ষা, বিশেষ করে মায়েদের জন্য -

ইমাম কালবানী ছোটবেলায় খুব দুষ্ট প্রকৃতির ছিলেন। তিনি তার মাকে খুবই ত্যক্ত-বিরক্ত করতেন। কিন্তু তার মা, (আল্লাহ তাকে রহম করুন), ছিলেন একজন পরহেজগার, ধার্মিক মহিলা। তিনি দোয়া কবুলের অলৌকিকতার ব্যাপারে বিশ্বাস রাখতেন। দোয়া করাটা তিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন। এ কারণে যখনই ছোট্ট কালবানী তাকে ত্যক্ত-বিরক্ত করতো তখনই তিনি দোয়া করতেন। তিনি বলতেন, ‘আল্লাহ তোকে হেদায়াত দিন, তোকে কাবার ইমাম বানিয়ে দিন।’

ইমাম কালবানী বলেন ‘আল্লাহ আমার মা’র দোয়া কবুল করেছেন। আজ আমি কাবার ইমাম হয়ে গেছি’। (আল্লাহু আকবার)

ইমাম কালবানী পারস্য উপসাগর এলাকার এক গরিব পরিবারের সন্তান। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, পবিত্র ঘর কাবায় ইমামতি করতে পারার বিষয়টা বিশেষ সম্মানের। সাধারণত সৌদি ভূখন্ডে স্থানীয় আরবদের জন্যই এই পদটা সংরক্ষিত থাকে। তিনি হতচকিত হয়ে পড়েছিলেন যখন জানতে পারেন কিং আব্দুল্লাহ তাকে মাসজিদ আল-হারামের জন্য ইমাম হিসেবে পছন্দ করেছিলেন। মা শা আল্লাহ। আর তিনিই ছিলেন কাবার প্রথম কালো ইমাম।

কাজেই, কখনোই দোয়ার ক্ষমতাকে ছোট করে দেখতে নেই। রাসুলে কারিম (সা.) এক হাদিসে এরশাদ করেন, ‘পিতা মাতার দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না’। (বায়হাকি)

প্রতিটি বাবা-মা’র নিজ সন্তানের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিৎ। তবে সাবধান থাকতে হবে যেন কোনো মা তার সন্তানের জন্য বদ দোয়া না করেন।

কেননা রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্ততির এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে বদ দোয়া করো না। কেননা, তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন মুহূর্তের জ্ঞানপ্রাপ্ত নও, যখন যা কিছুই চাওয়া হয় তিনি তোমাদের তা দিয়ে দেবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭৭০৫)

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ