ঢাকা, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

গুইসাপ কি খাওয়া যাবে?

প্রকাশনার সময়: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৩:২৪

হালাল-হারামের একমাত্র নিয়ন্ত্রক আল্লাহ। তিনি মানুষের কল্যাণে বেশিরভাগ বস্তু হালাল করেছেন। আর কম বস্তু হারাম করেছেন। পৃথিবীতে হালালের পরিমাণ বেশি। আবার কখনো প্রয়োজনে হারামও হালাল হয়ে যায়। সুতরাং যে জিনিসগুলো মানুষের জন্য হালাল করা হয়েছে, সেগুলো হালাল মনে করতে হবে। আর হারামকে মনে করতে হবে হারাম। হারামকে হালাল মনে করা মারাত্মক গুনাহ। তাই হারামকে ঘৃণা করতে হবে।

হালাল-হারামের প্রশ্নে একজন জানতে চেয়েছেন, গুইসাপ খাওয়া হালাল নাকি হারাম?

গুইসাপকে আরবিতে ‘ওয়ারাল’ বলা হয়। যেমন, আরবি অভিধানে ‘ওয়ারাল’-এর পরিচয় দেয়া হয়েছে এভাবে, ওয়ারাল হলো সরীসৃপজাতীয় একটি প্রাণী, যার নাক ও লেজ সুদীর্ঘ। কোমর সরু ও চিকন। ‘দব্বে’র লেজের মতো তার লেজে কোনো গিট নেই। তার দেহের দৈর্ঘ্য ‘দব্বে’ চেয়ে বড়, কুমিরের চেয়ে ছোট। এরা জল ও স্থল উভয় স্থানে চলাচল করে (উভচর প্রাণী)। এরা বিচ্ছু, বিষাক্ত কীট-পতঙ্গ, সাপ, গিরগিটি, গোবরপোকা ইত্যাদি আহার করে থাকে। আরবরা ওয়ারালকে ঘৃণা করে এবং নিকৃষ্ট মনে করে এবং তা খায় না। (আল মুজামুল ওয়াসিত পৃ.১০২৭)

এ থেকে বোঝা গেল, গুইসাপ ইতর, হিংস্র ও বিষাক্ত প্রাণী। আর এ জাতীয় প্রাণীর গোশত হারাম। কেননা, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘লম্বা দন্তবিশিষ্ট সব হিংস্র পশুর গোশত খাওয়া হারাম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৩৩)

উল্লেখ্য, অনেকে হাদিসে বর্ণিত ‘দব্ব’ শব্দের অর্থ করে থাকেন গুইসাপ। আর তা খাওয়া মাকরূহে তাহরিমি। মূলত ‘দব্ব’ আরবের মরুভূমির একটি প্রাণী। যা আমাদের দেশে পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। যেমন, প্রসিদ্ধ আরবি অভিধান ‘আল-মুজামুল ওয়াসিত’-এ ‘দব্ব’ এর পরিচয় দেয়া হয়েছে এভাবে-‘দব্ব’ হলো সরীসৃপজাতীয় বুকে ভর দিয়ে চলা একটি প্রাণী। যার শরীরের চামড়া পুরু ও অমসৃণ। তার লেজ চওড়া যা রুক্ষ, খসখসে ও অতি গিটবিশিষ্ট। আরব মরুভূমিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। (আল মুজামুল ওয়াসিত : পৃ.৫৩২)

লেখক : পরিচালক, মারকাযুল উলূম ঢাকা

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ