ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে?

প্রকাশনার সময়: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৬:১৫

নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ। নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে মানুষের চলাচলের সম্ভাবনা থাকলে নামাজ শুরুর আগে সুতরা সামনে রেখে নামাজে দাঁড়ানো সুন্নত। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে।

সামনে দিয়ে গেলে যে গুনাহ

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ) তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে এ পদক্ষেপের তুলনায় তার কাছে একশত বছর দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে হতো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৯৪৬)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী যদি জানত—এতে তার জন্য কী অপেক্ষা করছে, তাহলে চল্লিশ পর্যন্ত ঠায় দাঁড়িয়ে থাকাও ভালো মনে করতো।’ আবুন নাজর বলেন, আমার জানা নেই— হাদিসে চল্লিশের কী অর্থ। চল্লিশ দিন, চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর? (আবু দাউদ, হাদিস : ৭০১)

যখন যাওয়া যাবে

নামাজি ব্যক্তির সামনে যদি সুতরা থাকে, তাহলে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা যাবে। সুতরা হবে এক হাত বা তার চেয়ে দীর্ঘ কোনো বস্তু যেমন : চেয়ার, টুল ও কাঠের স্ট্যান্ড ইত্যাদি সুতরা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নামাজির সামনে তা দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯৯)

যদি নামাজরত ব্যক্তির সামনে সুতরা না থাকে কিন্তু নামাজি ব্যক্তির সামনে অনেক জায়গা আছে, সে জায়গা যদি দুই সেজদার সমপরিমাণ হয় তাহলে অতিক্রম করা যাবে। তবে বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে এভাবে অতিক্রম না করা উত্তম। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ০১/৫৯)

কেউ যদি নামাজি ব্যক্তির সামনে উপবিষ্ট থাকে, তাহলে তার জন্য সেখান থেকে চলে যাওয়া বা অন্যত্র সরে যাওয়ার সুযোগ আছে। এতে তার কোনো অসুবিধা হবে না, এটি নাজায়েজ নয়। কারণ, হাদিসে অতিক্রম করতে নিষেধ করা হয়েছে। আর সামনে থেকে চলে যাওয়া অতিক্রম করার অন্তর্ভুক্ত হয় না।

উল্লেখ্য, নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে যদি অন্যদের যাতায়াতের সম্ভাবনা থাকে, তাহলে নামাজ শুরু করার পূর্বেই সামনে ‘সুতরা’ রেখে নামাজ শুরু করা সুন্নত। আর সুতরার, সর্বনিম্ন পরিমাণ হলো- এক হাত হওয়া।

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.)-কে সুতরার পরিমাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে— তিনি বললেন, ‘হাওদার লাঠির মতো।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫০০)

এর ব্যাখ্যায় আতা (রা.) বলেন, হাওদার লাঠির দৈর্ঘ্য হলো- এক হাত বা তার চেয়ে একটু বেশি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৬৮৬)

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ