ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোনো কিছু চুরি হওয়ার আশঙ্কা হলে নামাজ ছাড়া যাবে?

প্রকাশনার সময়: ০৪ নভেম্বর ২০২২, ২১:৫৪ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২, ২১:৫৮

নামাজ মুসলমানের সবচে বড় ইবাদত। আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার বড় মাধ্যম। আল্লাহর কাছে প্রিয় হওয়ার প্রধান উপলক্ষ। একজন মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে বড় পার্থ্যক্য হলো নামাজ আদায়।

নামাজ আদায় করতে হবে বিনয়ের সঙ্গে। পূর্ণাঙ্গ মনোযোগের সঙ্গে। নামাজে দাঁড়িয়ে মনোযোগকে ভিন্ন কোথাও কাজে লাগানো যাবে না।

কোরআন-হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, নামাজে অমনোযোগিতার সুযোগ নেই। তবে অনেক সময় এমন কিছু ঘটে যায়, যার কারণে মনোযোগে বিঘ্নতা ঘটে। যেমন : নামাজ পড়ার সময় আশপাশ থেকে মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কিংবা নামাজে দাঁড়ানোর আগে কোনো জিনিস ঠিকমতো সংরক্ষণ না করায় নামাজ শুরুর পর বারবার তা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হতে থাকা। আরও সহজ করে বললে ব্যাপারটি এমন, আপনি নামাজে দাঁড়িয়েছেন, তখনই দেখছেন আপনার ব্যাগটি কেউ নিয়ে যাচ্ছে বা আপনার মোবাইল কেউ চুরি করতে চাচ্ছে কিংবা বাসায় চোর প্রবেশ করেছে; তখন আপনি কি করবেন? নামাজেই দাঁড়িয়ে থাকবেন নাকি নামাজ ছেড়ে নিজের জিনিসের সংরক্ষণ করবেন?

এই পরিস্থিতির ক্ষেত্রে ইসলামি আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো, মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিস হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে বা চুরি হওয়ার শঙ্কা হলে তা হেফাজত ও সংরক্ষণের জন্য নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ।

পূর্ববর্তী ইসলামি স্কলারদের জীবনী থেকে পাওয়া যায়, নামাজ অবস্থায় তাদের আরোহী চলে যাচ্ছিল, তখন তারা নামাজ ছেড়ে দিয়ে আরোহী হেফাজত করেছেন। আর কোনো কোনো ফকিহ বলেছেন, এক দিরহাম অর্থাৎ ৩১৫ টাকার সমপরিমাণ সম্পদ হেফাজতের জন্যও নামাজ ছেড়ে দেওয়া জায়েজ আছে।

তবে মুসল্লিদের উচিত, নামাজে দাঁড়ানোর আগে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সংরক্ষণ করা। পূর্ণ মনোযোগ নিয়ে নামাজ শুরু করা। নিজের সবচে ভালো পোশাক পরিধান করা। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১০৯)

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ