প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। নামাজ না পড়লে আখেরাতে কঠিন শাস্তি ও জাহান্নামের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘(জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করা হবে) তোমাদের কোন জিনিস সাকারে (জাহান্নাম) নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা সালাত আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না। ’ (সুরা : মুদ্দাসসির, আয়াত : ৪২-৪৩)
নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। আজানের মাধ্যমেই মুসলমানরা বুঝতে পারেন যে নামাজের সময় হয়েছে। এজন্য ফরজ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের গুরুত্ব অপরিসীম।
নামাজের জন্য মহল্লার মসজিদে পুরুষ মুয়াজ্জিন আজান ও ইকামত দিয়ে থাকেন। তবে মহিলারা নিজ ঘরে নামাজ আদায়ের সময় তাদের জন্য আলাদা আজান-ইকামত দিতে হবে কিনা- এমন প্রশ্ন করেন অনেকে।
এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদরা বলেন, মহিলাদের নামাজের জন্য আজান ও ইকামত নেই। নিজেরা জামাতে নামাজ আদায় করুক অথবা একাকী করুক। তাদের আজান-ইকামত দেওয়া মাকরুহ। তারা আজান-ইকামত ছাড়া নামাজ আদায় করবে। এ ব্যাপারে জুমহুর বা অধিকাংশ আলেম একমত। কারণ এর পক্ষে একাধিক সাহাবি থেকে বর্ণনা পাওয়া যায়।
আয়েশা রা. বলেন, ‘আমরা ইকামত ছাড়া নামাজ আদায় করতাম।’ (সুনানে বায়হাকি : ২/১১৭)
ইবনে উমর (রা.) বলেছেন, ‘মহিলাদের জন্য আজান ও ইকামত নেই।’ (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি)
শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বাজ (রহ.) বলেন, ‘মহিলাদের নামাজের জন্য আজান ও ইকামত কোনোটাই শরিয়ত সম্মত নয়। এগুলো পুরুষদের কাজ। বরং তারা আজান ইকামত ছাড়াই নামাজ আদায় করবে। তারা নামাজের সময়ের দিকে খেয়াল রাখবে।’ (সুনানে বায়হাকি : ১/৪০৮, বাদায়েউস সানায়ে : ১/৩৭৬)
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ