ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মহানবীর (সাঃ) আদর্শ সামগ্রীক জীবনে প্রতিষ্ঠার আহবান

প্রকাশনার সময়: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ২০:৩৯

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবন আদর্শ মুসলমানদের সামগ্রীক জীবনে প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর আশেক ও প্রেমিক হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা হযরত মোহাম্মদকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বসেরা মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করে জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর অনুসৃত পথ অবলম্বনের আহ্বান জানান।

রোববার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশ আশিক্বীনে আউলিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তারা। বাংলাদেশ আশিক্বীনে আউলিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব সাইয়্যেদ শাহ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরী সভাপতিত্বে ও সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের সাজ্জাদানশীন সাইয়্যেদ শাহ্ সূফী মুক্তাদির আল নূরী আল সুরেশ্বরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডক্টর এম শমসের আলী, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান, সাবেক শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মো. আবু বকর সিদ্দিক, বাংলা একাডেমীর পরিচালক মুফতি ডক্টর মো. হারুন অর রশিদ, ওয়ার্ল্ডওয়াইড হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর এমদাদুল হক।

সভায় অধ্যাপক ডক্টর এম শমসের আলী বলেন, কোরআন হলো পুরো মানবজাতির হেদায়েতের পুস্তক আর রাসূল (সাঃ) সারা বিশ্বের রহমত। মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক নয়, তারা সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। অধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপকভাবে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সাঃ) এর সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে সাইয়্যেদ শাহ সূফী বেলাল নূরী আল্ সুরেশ্বরী বলেন, নবীর প্রতি প্রেম, মোহাব্বত ও ভালোবাসাই প্রকৃত ঈমান। নবীর প্রেমিক যারা তারাই প্রকৃত মুসলমান। তিনি বলেন, কোনো কোনো আলেম ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালনে অনীহা পালন করে থাকেন এবং নবীজী ও সাহাবাদের যুগে ঈদে মিলাদুন্নবীর অস্তিত্ব ছিল না বলে দাবি করেন- এটা সঠিক নয়। বরং খোদ হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) রোজা পালনের মাধ্যমে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন। আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে যে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন হচ্ছে- এটি আহলে আল সুন্নাত ও বাংলাদেশ আশিক্বীনে আউলিয়া পরিষদের আন্দোলনের ফসল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর থেকে একটি র‌্যালী (জশনে জুলুস) বের হয়। জশনে জুলুস গোলাপ শাহ মাজার হয়ে বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের সামনে যায়। সেখান থেকে একটি গাড়ীর বহর নিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দরবার শরীফে পৌঁছে মিলাদ, কিয়াম, মোনাজাত ও তাবারক বিতরণের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ