কারো কারো ধারণা, সাহাবিদের থেকে শুধু দশজন সাহাবি জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন; যাদের ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ বলা হয়। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। তারা ছাড়াও আরও অনেক সাহাবি নবীজি (সা.)-এর জবানে জান্নাতের সুসংবাদ লাভ করেছেন।
একথা তো প্রায় সবারই জানা যে, নবীজির নাতি হাসান-হুসাইন (রা.) জান্নাতের যুবকদের সরদার হবেন এবং তাদের মা নবীকন্যা ফাতেমা (রা.) জান্নাতের নারীদের সরদার হবেন। (তিরমিজি: ৩৭৮১)
বদর যুদ্ধের শহিদ হারেসা ইবনে সুরাকা (রা.)-এর ব্যাপারে তো নবীজি জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। বদর যুদ্ধে যখন তিনি শহিদ হলেন তখন তার মা নবীজির কাছে এসে ছেলে সম্পর্কে জানতে চাইলেন, ‘সে কি জান্নাতে যাবে!... একপর্যায়ে নবীজি তাঁকে বললেন, আরে সে তো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করেছে।’ (বুখারি: ৩৯৮২)
বেলাল (রা.)-এর ঘটনাও তো অনেকের জানা, যেখানে নবীজি (সা.) বেলাল (রা.)-কে বলেছেন, ‘আজ রাতে আমি জান্নাতে তোমার জুতার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি।’ (মুসলিম: ২৪৫৮)
কারো কারো অনুসন্ধানমতে এরকম সহিহ হাদিসেই ২৮ জন সাহাবির কথা পাওয়া যায়, যাদের ব্যাপারে নবীজি (সা.) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।
শেষ কথা হলো, আশারায়ে মুবাশশারা নামে যে দশজন সাহাবি প্রসিদ্ধ, শুধু তাদেরকেই নবীজি (সা.) জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন— বিষয়টি এমন নয়; বরং এ দশজন সাহাবিকে নবীজি (সা.) এক মজলিশে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন এবং তারা প্রথম সারির সাহাবি। ফলে তাদের বিষয়টি খুব বেশি প্রসিদ্ধ হয়েছে; আর এখান থেকেই কিছু মানুষের মধ্যে এই ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, নবীজি (সা.) শুধু এ দশজন সাহাবিকেই জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ