আজানের সময় চুপ থেকে আজানের জবাব দেওয়ায় ইসলামের বিধান। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, আজান দেওয়ার সময় কেউ যদি কোরআন তেলাওয়াত করে তাহলে তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের জবাব দিতে হবে নাকি তেলাওয়াত চালু রাখতে পারবে?
হাদিসে আজানের জবাব দেওয়ার বিষয়ে অনেক সওয়াবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসুল! মুয়াজ্জিনদের মর্যাদা যে আমাদের চেয়ে বেশি হয়ে যাবে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমিও তা-ই বল, মুয়াজ্জিন যা বলে। তারপর আজান শেষ হলে (আল্লাহর কাছে) চাও। (তখন) যা চাইবে তা-ই দেয়া হবে।’ (আবু দাউদ, মেশকাত)
তাই সাধারণ অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াতের সময় আজান শুনলে তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের উত্তর দেওয়া উত্তম। কারণ সওয়াব লাভের জন্যই কোরআন তেলাওয়াত করা হয়, তাই সাময়িক সময়ের জন্য তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের জবাব দেওয়া উত্তম।
আজানের পরে আরো কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে তবে অল্প সময়ের জন্য তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের জবাব দিলে এতে তেলাওয়াত ও আজানের জবাব উভয়টিরই সওয়াব পাওয়া যাবে।
আজানের সময় যারা কোরআন শেখা বা শেখানোর কাজে ব্যস্ত থাকে তারা আজান শুনেও পড়াশেনা অব্যাহত রাখতে পারবে। এ অবস্থায় তাদের জন্য তেলাওয়াত বন্ধ করে আজানের উত্তর না দেওয়ারও অবকাশ রয়েছে। -(আসসিআয়াহ ২/৫১; রদ্দুল মুহতার ১/৩৯৬; আলবাহরুর রায়েক ১/২৫৯)
নয়া শতাব্দী/ এডি
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ