আপনি কোনো কারণে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এখন ঋণমুক্ত হতে চাচ্ছেন, কিন্তু অর্থের অভাবে ঋণমুক্ত হতে পারছেন না। এদিকে ঋণগ্রহীতাকে দেয়া সময়ও চলে গেছে। আপনিও কোনো উপায় খোঁজে পাচ্ছেন না, তাহলে আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন। আল্লাহর কাছে ঋণমুক্তির দোয়া করুন। সুযোগ পেলেই পড়ুন। ফরজ নামাজের পর পড়ুন। আজানের পর পড়ুন। দুই খুতবার মাঝে পড়ুন। জুমার দিন আসরের পর পড়ুন। নফল সুন্নতের সিজদা ও শেষ বৈঠকে পড়ুন। আল্লাহ আপনাকে ঋণমুক্ত রাখবেন, ইনশাআল্লাহ। দোয়াটি হলো—
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ফা-রিজাল হাম্মি। ওয়া কা-শিফাল গম্মি। মুজিবা দা’ওয়াতিল মুদতাররিন। রাহমা-নাদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি ওয়া রহিমাহুমা। আনতা রহমাতি ফারহামনি রহমাতান তুগনিনি বিহা আন রহমাতি মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি পেরেশানি দূর করার মালিক, যত চিন্তা আছে সব চিন্তা লাঘবকারী, যারা দুর্দশাগ্রস্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে সেসব নিরুপায় মানুষের দাওয়াত ও আহ্বানে সাড়া দানকারী, দুনিয়া এবং আখেরাতে আপনি রহমান, উভয় জগতে আপনি রহিম, আপনি আমাকে দয়া করেন। সুতরাং আমাকে এমন অনুগ্রহ দ্বারা দয়া করুন, যা আপনি ছাড়া অন্য সবার অনুগ্রহ থেকে আমাকে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী করে দেবে। (তাবরানি, কিতাবুদ দোয়া: ১০৪১)
পাশাপাশি এই দোয়াটিও পড়ব। সকাল-সন্ধ্যার আমলের সঙ্গে এই দোয়াটিও পড়া অভ্যাসে পরিণত করতে পারি।
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাকফিনী বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ: হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী কর না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে সচ্ছলতা দান কর। (তিরমিজি: ৩৫৬৩)
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ