ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে অবস্থা ও যে সময়ে দোয়া কবুল হয়

প্রকাশনার সময়: ১৬ জুন ২০২২, ১৪:৪৫ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২২, ১৪:৪৮

আল্লাহ তাআলা সর্ব অবস্থায় বান্দার দোয়া কবুলের জন্য মুখিয়ে থাকেন। তবে কিছু সময় ও স্থানে সবিশেষ দোয়া কবুলের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যথা —

১. আজানের সময় এবং আল্লাহর পথে যুদ্ধে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দুটি সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না বা খুব কমই প্রত্যাখ্যাত হয়: আজানের সময়ের দোয়া এবং যুদ্ধের সময় যখন একে অপরকে আঘাত করতে থাকে।’ (আবু দাউদ: ২৫৪০)

২. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘জেনে রাখ, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। অতএব, তোমরা দোয়া কর।’ (তিরমিজি: ২১২)

৩. সেজদারত অবস্থায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দা তার প্রতিপালকের সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয় সেজদারত অবস্থায়। সুতরাং তোমরা অধিক পরিমাণে দোয়া কর।’ (মুসলিম: ৪৮২)

৪. জুমুআর দিনের শেষ সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জুমুআর দিনের সময়গুলো ১২টি ভাগে বিভক্ত। তন্মধ্যে একটি সময় এমন যে, ওই সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহ তাআলার কাছে যা চায়, আল্লাহ তাআলা তাকে তা দিয়েই দেন। অতএব, তোমরা আসরের পরের শেষ সময়ে তা তালাশ কর।’ (আবু দাউদ: ১০৪৮)

৫. রাতের শেষভাগে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমাদের রব প্রতি রাতে যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। এরপর বলতে থাকেন, কেউ কি আমার কাছে দোয়া করবে, আমি তার দোয়া কবুল করব? কেউ কি আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে তা দান করব? কেউ কি আমার কাছে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?’ (মুসলিম: ৭৫৮)

৬. সিয়াম পালনকারী, মুসাফির, মাজলুম, সন্তানের জন্য পিতার দোয়া এবং সন্তানের জন্য পিতার বদদোয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিনটি দোয়া এমন যে, তা কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই; সন্তানের জন্য পিতার দোয়া; মুসাফির ব্যক্তির দোয়া এবং মাজলুমের দোয়া।’ (আবু দাউদ: ১৫৩৬)

৭. অসহায় ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া। আল্লাহ তাআলা অসহায় ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বরং তিনি, যিনি নিরুপায়ের আহ্বানে সাড়া দেন এবং বিপদ দূরীভূত করেন।’ ( সুরা নামল: ৬২)

৮. আরাফার দিবসের দোয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘উত্তম দোয়া হচ্ছে আরাফার দিনের দোয়া, আর সেই বাক্য যা আমি ও আমার পূর্ববতী নবীরা বলেছি, (উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির), অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাসক নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো অংশীদার নেই, রাজত্ব ও সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (তিরমিজি: ৩৫৮৫)

৯. হজ ও উমরাকারী এবং আল্লাহ তাআলার রাস্তায় জিহাদকারীর দোয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী, হজ ও উমরাকারী আল্লাহর দূত। তিনি তাদের ডেকেছেন, তারা তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছে। তারা তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছে, তাই তিনি তাদের তা দান করেছেন।’ (ইবনে মাজাহ: ২৮৯৩)

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ