দুস্থ, দরিদ্র, বিপদগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বড় সওয়াবের কাজ। কারণ, দয়ালু মানুষের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা দুনিয়াবাসীকে দয়া কর, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ)
আর দয়া-অনুগ্রহ ও সহযোগিতার মহান কাজটি যদি পবিত্র রমজান মাসে হয়, তবে তার ফজিলত ও মর্যাদা বহুগুণে বেড়ে যায়।
সমাজের দরিদ্রশ্রেণির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সচ্ছলদের কর্তব্য। কারণ, সব মানুষ মিলেই মানবসমাজ। সব শ্রেণি-পেশার মানুষই দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মতো। তাই সমাজের কোনো অংশ কষ্টে দিনাতিপাত করুক, তা ইসলাম অনুমোদন করে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়াশীলতা ও সহানুভূতির দিক থেকে একটি মানবদেহের ন্যায়; যখন তার একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার সমস্ত দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (মুসলিম)
রোজাদারের দোয়া আল্লাহ কখনোই ফিরিয়ে দেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতক্ষণ না ইফতার করে এবং মজলুমের দোয়া।’ (ইবনে মাজাহ) অন্য হাদিসে এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)
সুতরাং রোজাদার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সঙ্গে সাহ্রি-ইফতারের আনন্দ ভাগাভাগি করা এবং মুক্তহস্তে দানের হাত প্রসারিত করা অগনিত সওয়াব ও রোজাদারদের আন্তরিক দোয়া লাভের মাধ্যম।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ