ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রমজানে কখন বেশি দোয়া কবুল হয়?

প্রকাশনার সময়: ২০ এপ্রিল ২০২২, ০৬:৫১

রমজান মাস আল্লাহতায়ালার নৈকট্যলাভের বিশেষ মৌসুম ও অন্য সব মাস থেকে অধিক ফজিলতপূর্ণ। এ মাসেই মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। এ মাসে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন না। তাই এই মাসে বেশি বেশি আমল ও দোয়া করা উচিত।

রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস, দোয়া কবুলের মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা বান্দার সব চাওয়া পূরণ করতে প্রস্তুত থাকেন। এই মাসে যে কোনো সময়ই আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন না। তবে বিশেষ করে ইফতার সামনে নিয়ে রোজা ভাঙার আগমুহূর্তের যে কোনো সময় দোয়া কবুল হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।

এ সময় রোজাদার ক্ষুধা-পিপাসায় ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়েও খাবার সামনে রেখে না খেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে হাত তোলেন। তাই এই সময়ে দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ, এ ধরনের দুর্বল ও কষ্টকর অবস্থায় আল্লাহ বান্দার প্রতি সদয় হন।

পবিত্র রমজান মাসে মুসলিম বান্দারা তার রবের কাছে বেশি বেশি দোয়া করবে যাতে তিনি তাকে রমজান মাস পাওয়ার রিজিক দান করেন, শারীরিকভাবে সুস্থ রাখেন। সর্বদা যেন তার আনুগত্য করার ও হুকুম মতো আমল করার তাওফিক দেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, রজব মাস এলে নবীজি (সা.) আল্লাহর দরবারে দোয়া করে বলতেন, হে আল্লাহ, আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন আর রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের জীবন দান করুন।’ (বায়হাকি, শুআবুল ইমান ৩৭৫)

এক হাদিসে আছে, রোজা অবস্থায় দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে নবী (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৩/৩৪৫; সিলসিলাতুস সহিহা, আলবানি : ১৭৯৭ )

ইফতারের দোয়া :

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

মোটকথা, হাদিস অনুযায়ী এবং ইফতারের আগে রোজাদারদের দুর্বল অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতারের আগে আল্লাহর কাছে চাওয়া বান্দার দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তাই রোজাদারের উচিত, সারাদিন রোজা অবস্থায় দোয়া করার সুযোগ হাতছাড়া না করা। বিশেষ করে ইফতারে আগের সময়টিতে দোয়ার জন্য বেশি গুরুত্ব দেওয়া।

নয়া শতাব্দী/এমআরএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ