আপনি শুনলে অবাক হবেন, ব্যাংক ব্যবস্থার ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। হাল আমলের কোটিপতিদের মতো প্রাচীন কালের ধনকুবেররা কম্পিউটারে ক্লিক করে সুইস ব্যাংকে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারতেন না। তবে এই ভেবে ভুল করবেন না যে তারা নিজ ঘরে সম্পদ জমা করার মতন অনিরাপদ কাজ করতেন। চোর-ডাকাতের ভয় তো সব যুগেই ছিল।
এর সমাধানস্বরূপ সেই যুগের ধনী ব্যক্তিবর্গ সমাজের পবিত্র কিংবা তুলনামূলক নিরাপদ স্থানগুলো, যেমন মন্দিরের পাতাল কুঠুরিতে সম্পদ জমা রাখতেন। এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ওয়ার্ল্ড হিস্টরি অনুসারে, মন্দিরের কর্মী এবং পুরোহিতরা তখন সমাজের বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং সশস্ত্র প্রহরীরা মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা প্রদান করত। এসকল কারণে সম্পদশালীরা মূল্যবান বস্তু মন্দিরের নিচের পাতাল কুঠুরিতে জমা রাখত। একে টেম্পল ব্যাংকিং বা ব্যাংকিং-এর শুরু বলা যায়। ব্যাংকিং-এর শুরুর দিকে শুধু সম্পদ নিরাপদ রাখাটাই মূল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু অলস সম্পদ মন্দিরে জমা পড়ে আছে দেখে পুরোহিতরা সেগুলো ঋণ দেয়া শুরু করল এবং এই ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে থাকল।
প্রাচীন রোম, গ্রিস, মিসর এবং ব্যবিলনের ঐতিহাসিক নথি ঘেঁটে পাওয়া গেছে, মন্দিরগুলো দেদারসে ঋণ দেয়ার কার্যক্রম চালাতো— এমনকি বর্তমান যুগের ব্যাংকের মতো শহরের আর্থিক লেনদেনের প্রাণকেন্দ্র ছিল ওই মন্দিরগুলো।
নয়া শতাব্দী/এস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ