ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দোয়া কবুলের সেরা ১০ সময়

প্রকাশনার সময়: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৫৫

আল্লাহতায়ালা মুমিন বান্দার দোয়া সব সময় কবুল করে থাকেন। তার পরও প্রিয় নবী (সা.) সুনির্দিষ্ট কিছু সময়ের কথা হাদিসে উল্লেখ করেছেন। যে সময়গুলো দোয়া করলে আল্লাহতায়ালা নিশ্চিতভাবে বান্দার দোয়া কবুল করেন। আর তাহলো-

রাতের শেষ তৃতীয়াংশে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক দিন রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আমাদের রব সবচেয়ে নিচের (প্রথম) আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আছ? আমাকে ডাক; আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কে আছ? আমার কাছে চাও; আমি তোমাকে দান করব। কে আছ? আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাকারী; আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি)

আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।’ (আবু দাউদ)

জুমার দিনের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিনে একটি সময় আছে যে সময়টা কোনো মুমিন নামাজ পড়া অবস্থায় পায় এবং আল্লাহর কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ অবশ্যই সে চাহিদা পূরণ করবেন। এবং তিনি তার হাত দিয়ে ইশারা করে সে সময়ের সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।’ (বুখারি)

সেজদার সময়ের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে সময়টাতে বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায়, তাহলো সেজদার সময়। সুতরাং তোমরা তখন আল্লাহর কাছে বেশি বেশি চাও।’ (মুসলিম)

ফরজ নামাজের পরের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রাতের শেষ সময় এবং ফরজ নামাজের পরে দোয়া কবুল হয়।’ (মুসলিম)

কদরের রাতের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে, তার আগের (জীবনের) সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি)

বৃষ্টি হওয়ার সময়ের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরানো হয় না। আজানের সময়ের দোয়া আর বৃষ্টি বর্ষণের সময়ের দোয়া।’ (আবু দাউদ)

আরাফাতের দিনের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দোয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো আরাফাতের দিনের দোয়া।’ (তিরমিজি)

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল অন্য যে কোনো দিনের আমলের চেয়ে উত্তম।’ (বুখারি)

রোজাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দোয়া

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘৩ ব্যক্তির দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেয়া হয় না। এক. যখন রোজাদার ব্যক্তি ইফতার করে। দুই. ন্যায়পরায়ণ শাসক। তিন. নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি)

মুমিন মুসলমানের উচিত এ সময় ও দিনক্ষণগুলোতে বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফারের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজের একান্ত চাহিদাগুলো পূরণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ