ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
হা দি সে র গ ল্প

নবীকে কষ্ট দেয়ার পরিণতি

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৫৮

বদরযুদ্ধ শেষে তিনদিন অবস্থানের পর বিদায়কালে রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কার মৃত নেতাদের উদ্দেশ্যে গভীর রাতে কুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘হে কুয়ার অধিবাসীগণ! কতই না মন্দ আত্মীয় ছিলে তোমরা তোমাদের নবীর জন্য। তোমরা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছিলে, আর লোকেরা আমাকে সত্যবাদী বলেছিল। তোমরা আমাকে বের করে দিয়েছিলে, আর লোকেরা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিল।

তোমরা আমার সঙ্গে লড়াই করেছ, অথচ লোকেরা আমাকে সাহায্য করেছে। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে ওয়াদা দিয়েছিলেন, তা কি তোমরা সত্যরূপে পেয়েছ? কেননা আমাকে আমার পালনকর্তা যে ওয়াদা দিয়েছিলেন, তা সত্যরূপে পেয়েছি’।

ওমর (রা.) বললেন, হে রাসুল! তিনদিন পরে আপনি ওদের ডাকছেন। ওরা কি শুনতে পাচ্ছে? অথচ আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি শুনাতে পারো না কোনো মৃতকে।’ (সুরা নামল : ৮০)।

জওয়াবে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘যার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি, তোমরা তাদের চাইতে অধিক শ্রবণকারী নও, যা আমি বলছি। কিন্তু তারা জওয়াব দেয়ার ক্ষমতা রাখে না’। এর ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, আল্লাহ তাদেরকে সাময়িকভাবে জীবিত করেন, যাতে তারা নবীর ধিক্কার বাণীগুলো শুনতে পায় ও লজ্জিত হয়’।

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.) বলেছেন যে, নিশ্চয়ই তারা এখনি জানতে পারবে যে, আমি তাদেরকে যা বলেছি, তা সত্য।’ অতঃপর তিনি আয়াত দুটি পাঠ করেন। (সুরা নামল: ৮০; সুরা ফাতির: ২২)।

শিক্ষা: মৃতদের উদ্দেশে কথাগুলো বলা হলেও মূলতঃ জীবিতদের শোনানোই হলো মূল উদ্দেশ্য। যুগ যুগ ধরে যাতে কাফির-মুনাফিকরা এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ