ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জেরুজালেম : রক্তাক্ত এক দুঃখের নগরী

প্রকাশনার সময়: ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:৪১

৫৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। জেরুজালেমের ভাগ্যাকাশে দেখা দিল এক নিকষ কালো মেঘ। ইহুদিদের ওপর নেমে আসে বিপদের ঘনঘটা। নেমে আসে তাদের ওপর এক অন্ধকার অমানিশা। নেবুচাঁদনেজার কর্তৃক ভয়ানক আক্রমণের শিকার হয় জেরুজালেম। নৃশংসতার আগুনে জ্বলে ওঠে পবিত্র এ নগরী। ক্যালদীয়রা জেরুজালেম নগরী দখল ও ধ্বংস করে। বর্বরোচিত নৃশংস হামলা চালানো হয় ইহুদিদের ওপর। অধিকাংশ ইহুদিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আর যারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল তারা পরিণত হয় অনুগত দাসে। তারা কর প্রদানের বিনিময়ে জুডিয়ায় বসবাসের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ইহুদিরা নেবুচাঁদনেজারের বিরুদ্ধে শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করছিল। এ লক্ষ্যে তারা মিসরীয় রাজার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে।

এক পর্যায়ে মিসরীয় রাজার মদদে তারা ক্যালদীয় সম্রাটকে কর দিতে অস্বীকার করে বসে। এতে ক্যালদীয় সম্রাট নেবুচাঁদনেজার ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা ভেঙে ফেলে সুলায়মান (আ.) নির্মিত মসজিদে আকসা। নিশ্চিহ্ন করে দেয় দাউদ (আ.) কর্তৃক নির্মিত দেয়াল। ক্যালদীয় সৈন্যরা মেতে ওঠে স্মরণকালের ভয়ানক পৈশাচিকতায়। হত্যা করে তারা লাখ লাখ মানুষ। চালানো হয় অমানবিক গণহত্যা। এ গণহত্যাটি ছিল নির্মমতা আর নিষ্ঠুরতায় ভরা। এটা ছিল এমনি ভয়ঙ্কর যা কল্পনার চোখকেও ঝাপসা করে দেয়।

প্রায় সব উহুদিকে তারা হত্যা করে। এ হত্যা থেকে বেঁচে গিয়েছিল কিছু নর-নারী ও শিশু। তাদের নির্মমভাবে শেকলবন্দি করা হয়। ঘোড়ার পায়ের সঙ্গে তাদের বেঁধে দেয়া হয়। টানতে টানতে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ক্যালদীয় রাজধানী ব্যবিলনিয়ায়। সেখানে তাদের পরিণত করা হয় ভূমিদাসে। এভাবে অতিবাহিত হয় ৪৯ বছর। নেবুচাঁদনেজার তার অত্যাচার বাড়াতে থাকে। ফলে তার পতনও ত্বরান্বিত হতে থাকে। তার দিন ফুরিয়ে আসে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৮ সালের কথা। বিজয়ীর বেশে আগমন করেন পারস্য সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেট। তিনি নেবুচাঁদনেজারকে পরাজিত করেন। খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৮ সালে তিনি ক্যালদীয় সাম্রাজ্য দখল করে নেন। জেরুজালেম চলে যায় পারস্য সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেটের দখলে।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় নতুন সাম্রাজ্য। ইহুদিদের নতুন করে আবার সুদিন ফিরে আসে। সম্রাট সাইরাস ইহুদিদের দয়া করেন। তার দয়ায় কিছু ইহুদি জেরুজালেমে ফিরতে শুরু করে। ততদিনে ইহুদি ধর্ম প্রাণহীন এক আচারসর্বস্ব ধর্মে পরিণত হয়ে যায়। সুদীর্ঘ ৪৯ বছর পরে তারা জেরুজালেমে ফিরে আসে। এসেই তারা ধ্বংস হওয়া মসজিদ ও প্রাচীর নির্মাণে হাত দেয়। এছাড়া তারা মুসা (আ.)-এর বাণী লিপিবদ্ধ করার কাজেও হাত দেয়।

শুরু হয় ওল্ড টেস্টামেন্ট রচনার কাজ। ওল্ড টেস্টামেন্ট সম্পাদন করতে তাদের সময় লাগে দীর্ঘ ৯৩ বছর। ঠিক এ সময় থেকে চালু হয় বিশুদ্ধ ইহুদি জাতি গড়ার পরিকল্পনা। সম্রাট সাইরাস চালু করেন ‘ইহুদি জাতিগত সংরক্ষণবাদ’। এ সময় ইহুদিরা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নিজেদের আসন পাকাপোক্ত করতে সমর্থ হয়। ফলে তাদের মাথায় চেপে বসে প্রাণহীন আচারসর্বস্ব এক যাজকতন্ত্র। রাজশক্তির আশীর্বাদপুষ্ট ইহুদিরা শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। ধর্মাচার্জের অধীনে ইহুদিরা একটি শক্তিশালী যাজকতন্ত্র গড়ে তোলে। এ যাজকতন্ত্রের ক্ষমতার খুঁটি আরো দৃঢ় করতে তারা মরিয়া হয়ে ওঠে। আর এ লক্ষ্যে তারা জন্ম দেয় একটি সাম্প্রদায়িক তত্ত্ব। এ তত্ত্বের নাম দেয়া হয় বিশুদ্ধ জাতিতত্ত্ব। এ তত্ত্বকে মানবতাবিরোধী বিধানও বলা হয়ে থাকে। এ তত্ত্ব অনুযায়ী একমাত্র ইহুদিরা হলো স্রষ্টার চোখে খাঁটি ও বিশুদ্ধ জাতি। আর দুনিয়ার বাদবাকি সবাই হলো স্রষ্টার চোখে নিকৃষ্ট জাতি।

সভ্যতার ইতিহাসে এটি শাস্ত্রীয় ষড়যন্ত্রের এক ঘৃণ্য দলিল। ঘৃণ্য এ দলিলের ভিত্তিতে অন্যদের ওপর তারা হয়ে ওঠে হিংস্র। বিশুদ্ধ রক্তের এ জাতিতত্ত্ব তারা অন্য জাতির ওপর অতি নিষ্ঠুরভাবে কার্যকর করে। যে কোনো জাতির নিষ্ঠুর আচরণ তাদের জন্য এক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়। সাময়িকভাবে সাফল্য বয়ে আনলেও তাদের জন্য সুদূরপ্রসারী এক নেতিবাচক অকল্যাণ বয়ে আনে। ইহুদিদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়নি।

বিশুদ্ধ রক্তের এ জাতিতত্ত্ব ইহুদিদের পরবর্তীতে পরাধীনতার নাগপাশে বন্দি করে দেয়। ইহুদিদের বুকে আবারো পরাধীনতা চেপে বসে। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩২ সালের ঘটনা। মেসিডোনিয়া সাম্রাজ্যের অধিপতি তখন সম্রাট আলেকজান্ডার। আলেকজান্ডার পারস্য সম্রাট সাইরাস দ্য গ্রেটকে পরাজিত করেন। তার কাছ থেকে আলেকজান্ডার জেরুজালেম দখল করে নেন। ফলে ইহুদিদের সুদিন শেষ হয়ে যায়। তাদের ওপর আবার নেমে আসে অন্ধকার অমানিশা। তাদের ওপর পূর্বের অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি ঘটে। শুরু হয় ভয়াবহ নির্যাতন। অগণিত ইহুদিদের হত্যা করা হয়। জেরুজালেম ভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ ও বিতাড়িত করা হয়। জেরুজালেম হয়ে যায় প্রায় ইহুদিশূন্য।

এভাবেই ইহুদিদের নীতিভ্রষ্টতার কারণে তারা বারবার বিপর্যস্ত হয়। খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩২৩ সালে আলেকজান্ডার মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর তার সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে সাম্রাজ্য ভাগাভাগি হয়ে যায়। এ ভাগাভাগিতে জুডিয়া ও জেরুজালেম টানাটানির মধ্যে পড়ে। আলেকজান্ডারের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন টলেমি। টলেমি কর্তৃক সূচিত হয় মিসরীয় সাম্রাজ্য। আলেকজান্ডারের আরেক সেনাপতি ছিল সেলুকাস। সেলুকাস কর্তৃক সূচিত হয় সেলুসিড সাম্রাজ্য। এ দুই সাম্রাজ্যের টানাটানিতে এবড়ো-থেবড়ো হয়ে পড়ে জুডিয়া ও জেরুজালেম। এই টানাটানি চলে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে। এ দুটি সাম্রাজ্য জুডিয়া ও জেরুজালেমের কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধে লিপ্ত হয়। আলেকজান্ডারের মৃত্যুপরবর্তী ২৫ বছরে অন্তত সাতবার হাতবদল হয় এ অঞ্চলটি। ১৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। মিসরের সম্রাট টলেমি জুডিয়াসহ ফিলিস্তিন অঞ্চলের কর্তৃত্ব ছেড়ে দেন। ফলে জুডিয়া ও জেরুজালেম সেলুসিডদের হাতে চলে আসে। অবশেষে এই দুঃসহ টানাপড়েন থেকে রক্ষা পায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের এই জেরুজালেম নগরী। ১৬৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। সেলুসিড রাজা তখন এন্টিওসাস ইপিফানি (১৭৫-১৬৪)। জুডিয়া আর জেরুজালেমের শাসনকার্য ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তার মনে মিসর ও সাইপ্রাস দখলের খায়েশ জাগে। রাজা সেলুসিড মিসর ও সাইপ্রাসের উদ্দেশে অভিযান প্রেরণ করেন। তিনি একজন নৌ-কমান্ডারের নেতৃত্বে সাইপ্রাসের উদ্দেশে নৌবহর প্রেরণ করেন। আর নিজে অগ্রসর হন মিসরের দিকে। কিন্তু সে সময়ের উদীয়মান পরাশক্তি ছিল রোমানরা। রোমানদের অভাবিত হস্তক্ষেপে তার এ অভিযান সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়। রোমানদের হুমকির মুখে তিনি মিসর বিজয়ের আশা বাদ দেন। অভিযান হতে দেশের উদ্দেশে ফিরে আসতে উদ্যত হন। ঠিক এ সময় একটি ঘটনা সংঘটিত হয়। ইহুদিরা তার মনোনীত প্রধান ইহুদি ধর্মযাজক মেনিলাসকে অপসারণ করে। ইপিফানি এটাকে বিদ্রোহ হিসেবে গণ্য করলেন। ইহুদিদের ওপর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন। অন্যদিকে এ সময় দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। আর্থিক সংকটের এ সময়ে ব্যর্থ অভিযান তাকে আরো সংকটের মুখে ফেলে দেয়। তাই তিনি জেরুজালেমে বসবাসরত ইহুদিদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইপিফানি জেরুজালেম আক্রমণ করেন। মসজিদে আকসায় সংরক্ষিত ধনরতœ লুট করেন। সেই সঙ্গে তার অনুগত ইহুদি ধর্মযাজক ম্যানিলাসকে পুনরায় প্রধান ধর্মযাজকের পদে আসীন করেন। কিন্তু এবারো ইহুদিরা তাকে মেনে নিল না। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ইপিফানি। ইহুদি সংরক্ষিত মসজিদে আকসাকে তিনি গ্রিক দেবতা জিউসের মন্দিরে পরিণত করেন। তার নির্দেশে ধর্মগৃহে স্থাপিত হয় জিউসের মূর্তি। বেদিতে উৎসর্গ করা হলো শূকর। পুড়িয়ে ফেলা হলো সব ইহুদি ধর্মগ্রন্থ। ইহুদিদের সব প্রার্থনা ও ধর্মীয় উৎসব নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। হাজার হাজার ইহুদি নর-নারীকে ক্রীতদাস বানিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয়। ১৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ইহুদিরা সেলুসিডদের অধীনে বন্দি জীবন কাটায়। সেলুসিড রাজা ইপিফানির অত্যাচারের সীমা অতিমাত্রায় বাড়তে থাকে। ফলে তার দিনও ফুরিয়ে যায়।

৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। বিজয়ের বেশে আগমন করেন রোমান সেনানায়ক পম্পেই। তিনি সেলুসিড রাজা এন্টিওসাস ইপিফানিকে পরাজিত করেন। পম্পেই সিরিয়ায় রোমান রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর তিনি নজর দেন জুডিয়ার দিকে। জুডিয়াকে তিনি রোমের অধীনস্থ দেশের পর্যায়ে নিয়ে আসেন। রোমান শাসনের এ পর্ব থেকে শুরু হয় নতুন ইতিহাস। জেরুজালেমকে ঘিরে সূচিত হয় ইতিহাসের নতুন আরেক দিগন্ত। আর এ দিগন্তের নাম হলো খ্রিস্ট ধর্মের আবির্ভাব। খ্রিস্টীয় ত্রিশের দশকে আশার আলোকবর্তিকা নিয়ে আগমন করেন হযরত যিসাস (ঈসা (আ.)। তিনি ছিলেন শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আশার আলো। শান্তির বার্তা নিয়ে তিনি আবির্ভূত হন জেরুজালেমে। খ্রিস্টানদের পরিভাষায় তিনি হলেন হযরত যিসাস। এ সময় ইহুদি ধর্মযাজক ছিলেন কাইয়াফা। কাইয়াফা ছিলেন চরম ক্ষমতালোভী ও স্বার্থপর। কাইয়াফা ঈসা (আ.)কে অস্বীকার ও অমান্য করে। এক পর্যায়ে কাইয়াফা ও তার অনুগতরা হজরত জিসাসকে হত্যা করে। এটা ছিল রোমান সম্রাট টিবেরিয়াস সিজারের সময়ের ঘটনা। যিসাসকে হত্যার মাধ্যমে ইহুদিরা সাময়িক সাফল্য লাভ করে। কিন্তু পরবর্তীতে যিসাসের অনুসারী খ্রিস্টানরা শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসে। এর মাত্র এক দশকের মধ্যেই ইহুদিরা নতুন করে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। ৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমান শাসনের বিরুদ্ধে জুডিয়ায় ইহুদিরা বিদ্রোহ শুরু করে। রোমান শাসক টিটাস কঠোর হস্তে এ বিদ্রোহ দমন করেন। টিটাস অতীতের নেবুচাঁদনেজারের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। দানবীয় নৃশংসতায় তিনি জেরুজালেম অবরোধ ও ধ্বংস করলেন। ৭০ সালে তার সৈন্যরা সুলায়মান (আ.) নির্মিত মসজিদে আকসা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেন। দাউদ (আ.) নির্মিত প্রাচীর ধুলায় মিশিয়ে দেন। টিটাসের হাতে জেরুজালেমের ১০ লাখ ইহুদি নিহত হয়। এদের অধিকাংশই তার সৈন্যদের তরবারির নিচে প্রাণ হারায়। অনেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। পরবর্তীতে সম্রাট হাডদ্রিয়ান জেরুজালেম নগরী পুনর্নির্মাণ করেন। কিন্তু বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ইহুদিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইহুদিদের এই নির্বাসিত জীবনের অধ্যায়টি উরধংঢ়ড়ৎধ নামে পরিচিত।

রোমান পরাশক্তির কোপানলে পড়ে ইহুদিশক্তি এ সময় প্রায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছিল। খ্রিস্টধর্ম এ সময় ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করতে শুরু করে। ইহুদিরা প্রত্যাখ্যান করলেও যিসাসের (ঈসা আ.) বিভিন্ন বাণী গরিব মানুষকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। খ্রিস্টধর্ম দরিদ্র, দাস ও জেলেদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। ৩৮০ সালে রোমান সম্রাট তখন প্রথম থিওডোসিয়াস। তিনি খ্রিস্টধর্মকে রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্মে পরিণত করেন। রাষ্ট্রধর্ম ঘোষিত হওয়ার পরে খ্রিস্টান ধর্মযাজকরা হয়ে পড়েন পরাক্রান্ত। তারা ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার শুরু করেন।

লেখক: অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ