ঢাকা, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬

কোরআনে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশনার সময়: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮

জুমা মুসলিমদের সমাবেশের দিন। এ দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমাআ' বলা হয়। আল্লাহ তাআলা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও সমস্ত জগৎকে ছয়দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ছয়দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন। যে দিনগুলোতে সূৰ্য উঠে তন্মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিনও জুমার দিন। এই দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়, এই দিনেই তাকে জান্নাতে দেওয়া হয় এবং এই দিনেই জন্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। আর কেয়ামত এই দিনেই সংঘটিত হবে। জুমার দিনে এমন একটি মুহুর্ত আছে, যাতে মানুষ যে দোয়াই করে, তাই কবুল হয়।- এসবই বলেছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

জুমার নামাজের গুরুত্ব পবিত্র আল-কোরআনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা জুমা (৬২) এর ৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, 'হে বিশ্বাসীরা! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য ডাক হবে, তখন তোমরা আল্লাহকে মনে রেখে দ্রুত নামাজের জন্য চলেযাও এবং কেনাবেচা বন্ধ রাখো। এটি তোমাদের জন্য ভালো, যদি তোমরা জানো।' এই আয়াতে জুমার নামাজের গুরুত্ব এবং এর জন্য আল্লাহর প্রতি তাড়াতাড়ি চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আল-কোরআনে আরও বলা হয়েছে, 'নামাজ শেষে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ খুঁজো, এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও' (সুরা জুমা, আয়াত: ১০)। এটি নির্দেশ দেয় যে, আল্লাহর হক আদায়ের মাধ্যমে আখিরাতের মঙ্গল অর্জনের পর, দুনিয়ার জীবিকা অনুসন্ধানে আবার ছড়িয়ে পড়া উচিত।

জুমার দিন এবং এর আমলের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। অন্য কোনো দিন বা দিনের নামাজের ব্যাপারে এত বেশি বর্ণনা পাওয়া যায় না।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.)-এর বর্ণনায় রয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে প্রথমে মসজিদে আসে, সে যেন একটি উট কোরবানি করল; দ্বিতীয় ব্যক্তি, সে যেন একটি গরু কোরবানি করল; তৃতীয় ব্যক্তি, সে যেন একটি ছাগল কোরবানি করল; চতুর্থ ব্যক্তি, সে যেন একটি মুরগি সদকা করল; পঞ্চম ব্যক্তি, সে যেন একটি ডিম সদকা করল' (বুখারি: ৮৮১)।

এই হাদিস থেকে জুমার দিনের গুরুত্ব এবং এর আমলের ফজিলত স্পষ্ট হয়, যা মুসলমানদের জন্য একটি বড় দিকনির্দেশনা।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ