ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

প্রকাশনার সময়: ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০০

বদনজর হলো হিংসুকের বিষাক্ত দৃষ্টি। অন্যের অর্জনে জ্বলতে থাকা হিংসুকের বিষাক্ত দৃষ্টিতে অনেক সময় মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। এ জন্য মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উম্মতদের বদনজর সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসুল (সা.) বলেছেন, বদনজর লাগা একটি সত্য ব্যাপার। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৭৯)

অর্থাৎ মানুষের কুদৃষ্টি আসলেই প্রভাব ফেলে। তাই নিজেকে এবং নিজের সন্তান-সন্ততি ও সম্পদকে মন্দ লোকের কুদৃষ্টির আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহর কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইতে হবে।

পবিত্র কুরআনে এ বিষয়ে ইরশাদ হয়েছে, কাফিররা যখন কুরআন শুনে তখন তারা যেন তাদের দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে আছড়ে ফেলবে। আর তারা বলে, সে তো অবশ্যই পাগল। (সুরা কলম, আয়াত: ৫১)

অর্থাৎ মানুষের কুদৃষ্টি আসলেই প্রভাব ফেলে। তাই নিজেকে এবং নিজের সন্তান-সন্ততি ও সম্পদকে মন্দ লোকের কুদৃষ্টির আড়ালে রাখার চেষ্টা করতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা মহান আল্লাহর কাছে মন্দ লোকের কুদৃষ্টি থেকে আশ্রয় চাইতে হবে।

অনেক সময় বদনজরের প্রভাবে কোমলমতি শিশুদেরও বিভিন্ন রকম রোগব্যাধি দেখা দেয়।

হাদিসে বদনজর থেকে বাঁচতে ঝাঁড়ফুকের পাশাপাশি দোয়ার কথাও এসেছে। আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার জিবরাঈল (আ.) রাসুল (সা.) এর কাছে এসে বলেন, হে মুহাম্মাদ (সা.)। আপনি কি রোগাক্রান্ত হয়েছেন? জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, হ্যাঁ। পরে জিবরাঈল (আ.) নিচের দোয়াটি পড়েন।

بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أوْ عَيْنٍ حاَسِدٍ اللهُ يَشْفِيْكَ بِسْمِ اللهِ أرْقِيْكَ

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আরক্বিকা মিন কুল্লি শাইয়িন ইউয়ুজিকা ওয়া মিন সাররি কুল্লি নাফসিন আও আইনিন হাসাদিল্লাহু ইয়াশফিকা বিসমিল্লাহি আরক্বিকা।

অর্থ: আমি আল্লাহর নামে এমন প্রতিটি জিনিস থেকে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি যা আপনাকে কষ্ট দেয়, প্রতিটি সৃষ্টিজীবের এবং প্রতিটি চোখের এবং প্রতিটি হিংসুকের অনিষ্ট থেকে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৩৫২৩

বদজনজর এড়াতে নিয়মিত কুরআনি এ আমলগুলো করা যেতে পারে। নিয়মিত কুরআনি আমলে আল্লাহ তাআলা বদনজর থেকে মুক্ত করবেন। আর তাহলো-

> সুরা ফাতিহা পড়া

> আয়াতুল কুরসি পড়া (সুরা বাকারা, আয়াত ২৫৫)

> সুরা বাকারার শেষের দুই আয়াত (২৮৫ ও ২৮৬)

> সুরা ইখলাস পড়া

> সুরা ফালাক্ব পড়া। এবং

> সুরা নাস পড়া।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ