ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু, আজ মহাষষ্ঠী

প্রকাশনার সময়: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭

শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আজ বুধবার দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠী। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো পাঁচ দিনের উৎসব।

সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে থাকছে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। সন্ধ্যায় হবে আমন্ত্রণ ও অধিবাস।

ষষ্ঠী দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সকাল ৮টা ১ মিনিটের মধ্যে মহাষষ্ঠী কল্পনারম্ভ শেষ করতে হবে। শায়ণকালে থাকবে দেবীর অধিবাস ও আমন্ত্রণ। যদিও গত ২ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ বছরের উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।

দুর্গাদেবীকে আমন্ত্রণ জানাতে এরইমধ্যে দেশের মন্দিরগুলোতে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।

এদিকে টানা চার দিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আমেজ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে। সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে।

ছুটি ঘোষণা করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আগামী শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ এবার দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি হতে যাচ্ছে। পরদিন রোববার শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে সরকারি ছুটি। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত ছুটি থাকছে।

দুর্গা বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা, যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামের অন্য একটি অর্থ করেছেন। দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্য ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন। ‘মহা চণ্ডীতে’ উল্লেখ আছে, ত্রেতা যুগে ভগবান রাজা রামচন্দ্র দশানন রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে রত হন। পাপের বিনাশের লক্ষ্যে দেবী আদ্যাশক্তি মহামায়ার কাছে শক্তি বৃদ্ধির আশায় শরৎকালে তার পূজা করেছিলেন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করে দেবী সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে হত্যা করতে সক্ষম হন রামচন্দ্র। সেই থেকে পৃথিবীতে প্রতি বছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব পালন করে আসছেন।

লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ মহাষষ্ঠী, আগামীকাল মহাসপ্তমী, শুক্রবার মহাষ্টমী, শনিবার মহানবমী এবং রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বপালন করবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

এদিকে মন্দিরে নিরাপত্তা দিতে একটি কন্ট্রোলে রুম খুলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এখানেই আয়োজন করা হয়েছে মহানগর কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপের।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ