মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

শায়খ আহমাদুল্লাহর চোখে যেমন বাংলাদেশ

প্রকাশনার সময়: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১৮ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ২০:৪৫

দেশের সার্বিক বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি দুর্নীতি-রাহাজানিমুক্ত এক বাংলাদেশকে দেখতে চান জনপ্রিয় বক্তা ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘যেমন বাংলাদেশ চাই’ শিরোনামের এক পোস্টে তিনি বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন।

জুমার নামাজের পর দেওয়া ওই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই শায়খ আহমাদুল্লাহর সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টটিতে ইসলামি এ আলোচক ৩৫টি বিষয় তুলে ধরেছেন।

পাঠকদের জন্য সেগুলো তুলে ধরা হলো-

১. সরকারি অফিস-আদালত ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় প্রভাব মুক্ত থাকবে।

২. সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু মত প্রকাশের নামে কারও আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত করা হবে না।

৩. ভিন্ন মতের কারণে কেউ গুম, খুন বা হয়রানির শিকার হবে না।

৪. আয়নাঘরের মতো অভিশপ্ত কোনো নির্যাতন কেন্দ্র থাকবে না।

৫. সরকারি সেবা পেতে কারও মাধ্যম বা টেলিফোনের প্রয়োজন হবে না।

৬. আইন ও নীতি প্রণয়নে দেশের মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটবে।

৭. বিচারকার্যে কেউ অন্যায় হস্তক্ষেপ করবে না এবং সবাই ন্যায়বিচার পাবে।

৮. বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের সর্বোচ্চ আস্থা তৈরি হবে।

৯. আইনের শাসন থাকবে।

১০. জাতীয় শিক্ষানীতি ও পাঠ্যপুস্তকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের রিফ্লেকশন (প্রতিফলন) হবে।

১১. শিক্ষার নামে কারও ওপর তার ধর্ম ও বিশ্বাসবিরোধী কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না।

১২. দেশের মানুষের বিশ্বাস ও চেতনা পরিপন্থী বিষয় এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি আমদানি করা হবে না।

১৩. প্রবাসীদের প্রতি হয়রানি বন্ধ হবে এবং দেশের সকল সেবায় তাদের জন্য বিশেষ প্রায়োরিটি (অগ্রাধিকার) থাকবে।

১৪. বেকারত্ব দূরীকরণে তরুণদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ ও সুদমুক্ত ঋণ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সুগম হবে।

১৫. বিনোদন ও সংস্কৃতির নামে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা বন্ধ হবে।

১৬. দাড়ি, টুপি, হিজাব ও ইসলামপন্থীদের প্রতি বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণ দূর হবে।

১৭. সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত হবে না।

১৮. ইসলামপন্থীদের প্রতি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বৈষম্য দূর হবে।

১৯. ইমাম-খতিবদের হক কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে।

২০. সকল নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতি হবে কেবল মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।

২১. দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

২২. অধিক মুনাফাখোরী ও মজুতদারী থাকবে না।

২৩. নিরাপদ খাদ্য, পানীয় এবং ওষুধ নিশ্চিত হবে।

২৪. চিকিৎসার মান উন্নত ও আস্থাশীল হবে।

২৫. ছাত্র সংসদ ছাড়া শিক্ষাঙ্গনে লেজুড়বৃত্তিমূলক ছাত্র রাজনীতি থাকবে না।

২৬. দুর্নীতি, অনিয়ম এবং খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণের শাস্তি হবে সবচেয়ে কঠোর।

২৭. বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অপসংস্কৃতি থাকবে না।

২৮. পণ্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সকল প্রকার চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট দূর হবে।

২৯. ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম কমে যাবে।

৩০. যত্রতত্র বাস স্টপেজ এবং বাস-ট্রাক পার্কিং বন্ধ হবে।

৩১. কৃষক তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য পাবে।

৩২. শ্রমিকের প্রতি কোনো অবিচার হবে না।

৩৩. সব ধরনের জালিয়াতি ও প্রতারণা বন্ধ হবে।

৩৪. গুণ্ডামি ও পেশি শক্তির প্রদর্শনী দেখতে হবে না।

৩৫. চাটুকারিতার উদ্দেশ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুনে পরিবেশ দূষিত করা হবে না।

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ