হঠাৎ করেই আগুনে পুড়ে গেল আপনার হাত! আপনি ছুটে গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার আপনার হাতের পুড়ে যাওয়া অংশে পিন দিয়ে খোঁচাতে লাগল। আপনি ব্যথায় চেঁচিয়ে উঠে ভাবছেন; এ আবার কোথায় এলাম, ডাক্তারের মাথামুণ্ডু তো কিছুই বুঝতে পারছি না! পুড়ে যাওয়া হাতে খোঁচা মারছে কেন! এরপর ডাক্তার আপনার ব্যথা পাওয়া দেখে হাসিমুখে বললেন— ‘বড় কোনো ক্ষতি হয়নি, চামড়ায় এখনো ব্যথা অনুভূত হচ্ছে অর্থাৎ আপনার হাতের চামড়ার ওপরের অংশই শুধু পুড়েছে। চামড়ার নিচের পেইন রিসেপ্টরগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে!’ আপনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ!
এই তো মাত্র কয়েক বছর আগেও মানুষ জানত ব্যথা অনুভূত হয় ব্রেইনের কারণে। ত্বকের নিচের পেইন রিসেপ্টরের কথা জানত না কেউই। বড় বড় চিকিৎসক, সায়েন্টিস্ট কেউ না। কিন্তু যিনি সকল বিজ্ঞানীর বড় বিজ্ঞানী, যিনি সকল চিকিৎসকের বড় চিকিৎসক, যিনি শুধু দুনিয়ারই নয় বরং আখিরাতেরও অনন্ত সময়ের মাস্টার প্ল্যানার। তিনি সেই অন্ধকার যুগের মানুষদেরই বলে রেখেছেন এই পেইন রিসেপ্টরের কথা। ত্বকে ব্যথার অনুভূতির কথা।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে জানিয়ে দিয়েছেন- ‘যারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে আমি দোজখের অগ্নিতে দগ্ধ করব। আর যখনই তাদের চর্ম এই অগ্নিতে দগ্ধ হবে তখন এর স্থলে নতুন চর্ম সৃষ্টি করবে যাতে তারা শাস্তি ভোগ করে।’ (সুরা নিসা: ৫৬) ভালো করে আয়াতটা লক্ষ করলে দেখবেন দোজখের আগুনে দগ্ধ হওয়া চামড়া কিন্তু বারবার সৃষ্টি হওয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে শাস্তি ভোগ করতে পারে। কেননা একবারেই চামড়া পুড়ে গেলে আর ব্যথা পাওয়ার কথা না। তাই আল্লাহ তায়ালা বারবার চামড়া তৈরি করবেন। যে চামড়ার নিচে রয়েছে লক্ষ লক্ষ পেইন রিসেপ্টরের বিশাল এক জাল। যার কারণে ত্বকের ওপর ছোট্ট একটা পিঁপড়া কামড়ালেও আমরা টের পাই!
আমাদের জানা নেই জাহান্নামে সেই পেইন রিসেপ্টরের ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালা কতগুণ বর্ধিত করে দেবেন! জানা নেই সেখানকার অনূভুতি কতটা তীক্ষ করে দেবেন! আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন। এবং তাঁর নিদর্শনসমূহ উপলব্ধি করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ