ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

তীব্র গরমে যে ৩টি আমল করতে পারেন

প্রকাশনার সময়: ০৩ মে ২০২৪, ২১:০৬ | আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ২১:৫৮

বাংলাদেশে এখন গ্রীষ্মকাল। তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে গরমের তীব্রতার কারণে কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না। এর কারণে মানুষের মন-মেজাজেও বিরূপ প্রভাব পড়ে। এরপরও থেমে থাকে না মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা, কাজকর্ম। এই সময় সহজ কিছু আমল করা যেতে পারে। এমন কিছু আমল হলো—

পানি পান করানো: গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহের কারণে মানুষ বেশি বেশি পিপাসা অনুভব করে। এ সময় পিপাসার্তকে পানি পান করানো একটি উত্তম কাজ।

এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা.-কে প্রশ্ন করলেন, ‘কোন দান উত্তম? তিনি বললেন, ‘পানি পান করানো।’ (সুনানে নাসাই : ৫৪৫৬)

ইমাম কুরতুবি রহ. বলেন, ‘তৃষ্ণার্তের তৃষ্ণা নিবারণ সর্বোত্তম মহৎ কাজের একটি।’ হাদিসের অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘সদকা বা দান জাহান্নামের আগুন নির্বাপণ করে। আর পানি পান করানো উত্তম সদকা।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৭৪৩৫)

নফল নামাজ আদায়: অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস, তাই জাহান্নামের ভয়ে বেশি করে এবং লম্বা লম্বা সূরা দিয়ে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম।

হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যখন গরম বেশি পড়বে, তখন বেশি নামাজ আদায় করো। কারণ অতিরিক্ত গরম হলো- জাহান্নামের নিশ্বাস।’ (মিশকাত : ৫৯১)

বৃষ্টির জন্য নামাজ: গরমের কারণে সবাইকে কষ্ট পোহাতে হয়। এ সময় তাপপ্রবাহের কারণে জমিন শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। আদ্রতা না থাকার কারণে গাছপালা মরে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে, শস্য ফলাতে প্রচুর বৃষ্টির প্রয়োজন হয়।

একইসঙ্গে পশুপাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, এ সময় তীব্র তাপদাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুব প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে দয়াময় আল্লাহতায়ালার দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ