রমজানের রোজা ইসলামের ফরজ বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এর বাইরে পুরো বছর বিভিন্ন সুন্নত ও নফল রোজা রয়েছে। যা সময় অনুযায়ী পালন করে থাকেন মুসলমানেরা। এই সুন্নত রোজাগুলোর মধ্যে রমজানের পরেই প্রথম পালনীয় হলো শাওয়ালের ৬ রোজা।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সব ফরজ রোজাগুলো রাখল অতঃপর শাওয়াল মাসে আরও ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারাবছর ধরেই রোজা রাখল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৪)
শাওয়ালের এই ৬ রোজা ঈদের পরের দিন থেকেই রাখা যায়। কেউ চাইলে টানা ৬ দিনে এই রোজা পালন করতে পারবেন, আবার একাধারে রাখতে না পারলে বিরতি দিয়ে দিয়ে রাখতে পারবেন। যেমন, একদিন রেখে আরেকদিন বিরতি দিয়ে এভাবে রাখতে পারবেন।
কারো কাজের চাপ বা ব্যস্ততা থাকলে তিনি একদিন রোজা রেখে আরেকদিন বিরতি নেওয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। এভাবেই দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে তার ৬টি রোজা পূর্ণ হয়ে যাবে।
এ ছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। তাহলো প্রতি সপ্তাহের সোম-বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখা সুন্নত। অনেকেই সপ্তাহের এই দুইদিন রোজা রাখেন। যারা এই রোজা রাখেন, তারা এ সময় শাওয়ালের রোজার নিয়ত করে নিতে পারেন, এতে করে শাওয়ালের রোজাও আদায় হয়ে যাবে।
এর বাইরে অনেকে আইয়ামে বিজের (প্রতি আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে হাদিসে বর্ণিত নফল রোজা।) রোজার আমল করে থাকেন। তারা এই রোজার সঙ্গে শাওয়ালের রোজার নিয়ত করতে পারেন। এবং আগে-পরে মিলিয়ে আরও তিন দিন রোজা রাখলেই সহজেই শাওয়ালের রোজা আদায় হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে আমলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ