বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শনিবার থেকে ‘কুরআনের দিনগুলো’ শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী কুরআন বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
পবিত্র কুরআন বিষয়ক এ ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. বশিরুল আলম।
ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে অবস্থিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের কনস্যুলার (ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স) মাহমূদ খোসরাভী এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারী শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম বলেন, ইরান একটি প্রাচীন সভ্যতার দেশ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে দেশটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সারাবিশ্বে ইসলামের প্রচার প্রসারে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় দুজন বাংলাদেশি প্রথম ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তাদের জন্য আমরা বাংলাদেশের মানুষ গর্ববোধ করি।
ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে আগামীতে ইরানের সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী বলেন, ‘পবিত্র কুরআন এসেছে মানুষকে হেদায়েতের জন্য। আল্লাহর বান্দা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো দুনিয়ায় পবিত্র কুরআন চর্চা করা। একজন মুসলমান হিসেবে এবং আল্লাহর বান্দা হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের ওপর দায়িত্ব হচ্ছে- কুরআনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া।’
সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী আরও বলেন, ‘পবিত্র কুরআনেই বলা হয়েছে, এই আসমানি কিতাব হলো মানুষের জন্য পথ নির্দেশিকা স্বরূপ। এটি মানুষকে উত্তম পথের দিকে ধাবিত করে। যা কিছু সুন্দর-উত্তম সেদিকেই মানুষকে পথ দেখায়। এক কথায় বলতে গেলে, কুরআন এসেছে মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য। তাই উত্তম জীবন যাপনের জন্য আমাদের পবিত্র কুরআনকে অনুসরণ করতে হবে।’
আলোচনাসভা শেষে ৪ দিনব্যাপী কুরআন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলম।
এই ওয়ার্কশপ ও প্রদর্শনী চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। যা পরিচালনা করছেন ইরানের বিখ্যাত কারী ও কুরআনের শিল্পীরা।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ