আজ পালিত হবে শবেবরাত। ‘শবেবরাত’ হাদিসে ‘লাইলাতুল নিসফ মিন শাবান’ অর্থাৎ ‘মধ্য শাবানের রাত্রি’ নামে উল্লেখিত। অন্যভাবে ধরলে, শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত। এ মর্মে একটি সহিহ হাদিস যা সুনানে ইবনে মাজাহ এর ইকামাতুস সালাত অধ্যায়ে আবু মুসা আল আশআরি থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে সমস্ত সৃষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেন এবং মুশরিক ও মুশাহিন (হিংসুক) ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’ অর্থাৎ, এ রাতে ফজিলতপূর্ণ আমল হিসেবে ধরলে নিজেকে শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত রাখাই বড় ইবাদত।
কিন্তু, আমাদের দেশে যে পদ্ধতি প্রচলিত আছে তা হলো, হালুয়া বিতরণ, রুটি-হালুয়া ভোজন, মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়া ইত্যাদি একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। মানুষ এটিকে একটি প্রতীকী হিসেবে পালন করে। প্রতীকী হলো যে, ইহুদ যুদ্ধে মহানবী (সা.) এর দাঁত মোবারক ভেঙে যাওয়ায় তিনি হালুয়া খেয়েছিলেন; তাই আাামাদেরও হালুয়া খেতে হবে। কিন্তু, আমাদের ভালো দাঁত নিয়ে এই প্রতীকী হিসেবে হালুয়া খাওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত?
আবার, ইহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৩ হিজরির ৭ শাওয়াল মাসে ইহুদ পর্বতের সংলগ্ন স্থানে। কিন্তু, আমরা শবেবরাতের উৎসব পালন করি শাবান মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এ বিষয়ের আদলেও এটি পালন করা কতটুকু যৌক্তিক?
আমরা ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করতেই পারি; নিজেকে শিরক-হিংসা থেকে মুক্ত রাখতে পারি। যেটি হবে আমাদের শবেবরাতের ফজিলতপূর্ণ আমল। অথচ পরিতাপের বিষয় হলো, এ রাতকে কেন্দ্র করে নানা বিদআতি ও শিরকি চিন্তা ও কর্মের ছড়াছড়ি শুরু হয়ে যায় আমাদের চারপাশে। আমাদের সুষ্ঠু সংস্কৃতি গড়ে উঠুক। আমরা বিদআত থেকে মুক্ত হই।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ