ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬

অনাহারীকে আহার দানের অশেষ নেকি

প্রকাশনার সময়: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৮

যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তিনি মানব জাতিকে একে অপরের কল্যাণ সাধনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষের কল্যাণ সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম হচ্ছে দরিদ্র, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দান করা। (বুখারি: ১২)

ইসলামের দৃষ্টিতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের খাদ্য দানের গুরুত্ব ব্যাপক। পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসে এ ব্যাপারে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো:

১. মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করা: পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন স্থানে মহান আল্লাহ ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দানের আদেশ দিয়েছেন এবং উৎসাহিত করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, ‘অথবা ক্ষুধার দিনে অন্নদান করো এতিম নিকটাত্মীয়কে। অথবা ভূলুণ্ঠিত অভাবগ্রস্তকে।’ (সুরা বালাদ: ৯০/১৪-১৬)

অন্যত্র তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি ভালোবাসার টানে খাদ্য দান করে অভাবী, এতিম ও কয়েদিদেরকে।’ (সুরা দাহর: ৭৬/৮)। তাই আমরা ক্ষুধার্ত দরিদ্র ব্যক্তিকে খাদ্য দানের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনকারী বান্দা হিসেবে গণ্য হতে পারি।

২. সর্বোত্তম আমল: ইবাদত মূলত দুইভাগে বিভক্ত। এক. মহান আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইবাদত। তাকে হাক্কুল্লাহ বলে যেমন- গালাত, সিয়াম ইত্যাদি। দুই. বান্দার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইবাদত, যাকে হাক্কুল ইবাদ বলে। যেমন- মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করা, মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা ইত্যাদি। হাক্কুল ইবাদের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার দান করা। ক্ষুধায় কাতর ব্যক্তি সব দিক দিয়ে দুর্বল হয়, খাবারের অভাবে সে অসহায় ও অচল হয়ে পড়ে। তাই ক্ষুধার্তকে আহার করিয়ে পরিতৃপ্ত করা মহান আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় আমল।

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘একদা এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলেন, ইসলামে কোন কাজটি শ্রেষ্ঠ? নবী করীম (সা.) বললেন, ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ হচ্ছে ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার খাওয়ানো।’ (বুখারি: ১২; মুসলিম: ৩৯) তাই ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানকারী ব্যক্তি সর্বোত্তম আমলকারী বলে গণ্য হবেন।

৩. মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ: ক্ষুধার্ত ব্যক্তিদের খাদ্য দানকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে ধন্য হবেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি, তোমাদের নিকট এর কোনো প্রতিদান চাই না এবং কৃতজ্ঞতাও কামনা করি না।’ (সুরা দাহর: ৭৬/৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দয়াশীলদের ওপর দয়াময় আল্লাহ দয়া করে থাকেন। তোমরা জমিনবাসীদের ওপরে দয়া কর, আসমানবাসী (আল্লাহ) তোমাদের ওপরে দয়া করবেন।’ (তিরমিজি: ১৯২৪) অপর হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি অনুগ্রহ করে না, তার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয় না।’ (বুখারি: ৭৩৭৬; মুসলিম: ২৩১৯)

৪. মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায়: আমরা সর্বদা মহান আল্লাহর অফুরন্ত নিয়ামতের মাঝে ডুবে আছি। শুধু আমাদের শরীরের দিকে তাকালেই আমরা দেখতে পাই কত সুঠাম ও সুশ্রী করে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। কথা বলার জন্য দিয়েছেন বাকশক্তি, তার নিয়ামতরাজি অবলোকন করার জন্য দিয়েছেন অমূল্য দৃষ্টিশক্তি। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে আমরা তার দেয়া এসব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে পারি এবং তার দেখানো পথে চলতে পারি।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমরা কি দেইনি তাকে দুটি চোখ? এবং জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট? আর আমরা তাকে দেখিয়েছি দুটি পথ। কিন্তু সে তো গিরিসংকটে প্রবেশ করেনি। তুমি কি জানো গিরিসংকট কী? তা হলো দাসমুক্তি। অথবা ক্ষুধার দিনে অন্নদান করা এতিম নিকটাত্মীয়কে। অথবা ভূলুণ্ঠিত অভাবগ্রস্তকে।’ (সুরা বালাদ: ৯০/৮-১৬)

উপরোক্ত আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ প্রথমে তাঁর দেয়া কিছু অমূল্য নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। চক্ষু-কর্ণ, জিহ্বা ইত্যাদি যা ছাড়া মানুষের স্বাভাবিক অবয়ব কল্পনা করা যায় না। অতঃপর তিনি দুটি পথের কথা বলেছেন, একটি ভালো, অপরটি মন্দ। মানুষকে তিনি চক্ষু-কর্ণ দেয়ার মাধ্যমে কোনটি ভালো কোনটি মন্দ পথ তারও সম্যক জ্ঞান দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেন, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে না হয় অকৃতজ্ঞ। অর্থাৎ তাঁর দেখানো পথে না চললে অকৃতজ্ঞ হবে আর তাঁর পথে চললে কৃতজ্ঞ হবে। তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়ার পথটিও তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তা হলো সৎকাজ, দাস মুক্তি ও ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান। এ কাজের মধ্য দিয়েই আমরা তাঁর পথের অনুসারী হয়ে কৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হতে পারি। এতে করে দুনিয়া ও আখিরাতে আমাদের সম্মান ও সম্পদ আরও বৃদ্ধি পাবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে বেশি বেশি করে দেব।’ (সুরা ইবরাহিম: ১৪/৭)

৫. রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য: গরিব, অসহায়, ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাদ্য দানকারী ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর আনুগত্যকারী ব্যক্তি বলে গণ্য হবেন। কেননা রাসুল (সা.) ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা ভিক্ষুক (ক্ষুধার্তকে) কিছু না কিছু দাও, আগুনে পোড়া একটা খুর হলেও।’ (আহমাদ: ১৬৬৯৯)

অতএব রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পূর্ণ আনুগত্যকারী উম্মত হতে চাইলে আমাদেরকে ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করতে হবে। কেননা তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সে ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন নয় যে নিজে পেট পুরে আহার করে কিন্তু তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে’। (বায়হাকি: ৩৩৮৯) তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান কর। তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ১৯৮৪)

৬. বিশেষ সাহায্য লাভ: ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান এমন একটি আমল, যার দ্বারা একজনের চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়। কারণ ক্ষুধার্তকে দান করে নিঃস্ব মুসলিম ভাইয়ের অভাব পূরণের চেষ্টা করলে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আর এতে আল্লাহর বিশেষ সাহায্য লাভ করা যায়। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক তার কোনো মুসলিম ভাইয়ের অভাব পূরণের চেষ্টা করে মহান আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন।’ (মুসলিম: ২৬৯৯)

অন্যত্র তিনি আরও বলেছেন, ‘যে লোক কোনো গরিবের চলার পথ সহজ করে দেয় ইহকালে ও পরকালে মহান আল্লাহ তার চলার পথ সহজ করে দেবেন।’ (আবু দাঊদ: ২৫৯৪) তাই আমাদেরকে গরিব ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে তার অভাব পূরণের চেষ্টা করতে হবে।

৭. ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানে আল্লাহর সন্তোষ: ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান করলে মহান আল্লাহ খুশি হন। একদা এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-কে এসে বললেন, আমি ক্ষুধায় কাতর হয়ে গেছি। আল্লাহর নবী (সা.) ত্বরিৎ তাঁর এক স্ত্রীর নিকট খবর পাঠালেন। তখন খবর আসল বাড়িতে পানি ব্যতীত কিছুই নেই। অতঃপর তিনি অন্য স্ত্রীর নিকট খবর পাঠালেন তিনিও জানালেন আল্লাহর কসম বাড়িতে পানি ব্যতীত কিছুই নেই। এমনকি তিনি সকল স্ত্রীর নিকটেই খবর পাঠালেন এবং সবাই একই কথা বলল। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নবী (সা.) সাহাবিদের মাঝে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন কে এ রাতে এই ক্ষুধার্তকে মেহমান হিসেবে গ্রহণ করবে?

সাহাবিদের মধ্যে একজন সাহাবি আবু তালহা আনছারী (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি এই ক্ষুধার্তকে মেহমান হিসেবে গ্রহণ করলাম। অতঃপর আবু তালহা (রা.) ক্ষুধার্ত ব্যক্তিটিকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতে গেলেন। তার স্ত্রীকে বললেন, তোমার নিকট কোনো খাবার আছে কি? রাসুল (সা.)-এর ক্ষুধার্ত মেহমানের আপ্যায়ন কর। তার স্ত্রী বললেন, ঘরে কেবল বাচ্চাদের স্বল্প খাবার আছে। আবু তালহা (রা.) তার স্ত্রীকে বললেন, তাতেই চলবে। তুমি বাচ্চাদেরকে কোনো জিনিস দ্বারা ভুলিয়ে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে আর মেহমান যখন আমাদের ঘরে প্রবেশ করবে তখন তুমি বাতি নিভিয়ে দেবে এবং তাকে বুঝাবে যে আমরাও খাবার খাচ্ছি। অতঃপর তারা পরিকল্পনা মতো তাই করলেন এবং দুজনে উপবাসে রাত কাটিয়ে দিলেন।

পরদিন সকাল বেলা আবু তালহা (রা.) যখন নবী করীম (সা.)-এর কাছে গেলেন, তখন নবী করীম (সা.) তাকে কাছে ডেকে বললেন, জিবরিল (আ.) এসে আমাকে খবর দিয়েছেন তোমরা কাল রাতে ওই ক্ষুধার্ত মেহমানের সঙ্গে যে আচরণ করেছ তাতে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা আশ্চর্য হয়েছেন অথবা তিনি হেসেছেন।’ (বুখারি: ৪৮৮৯)

৮. আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী, অবিরাম সালাত ও রোজা পালনকারীর ন্যায়: গরিব ক্ষুধার্তদের খাদ্য দান করা, তাদের খাদ্যের জন্য চেষ্টা-সাধনা করা এতই মর্যাদাপূর্ণ যে, ওই ব্যক্তি মহান আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর মর্যাদা লাভ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বিধবা ও মিসকিনদের জন্য চেষ্টা সাধনাকারী মহান আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য।’ (বুখারি: ৬০০৬; মুসলিম: ২৯৮২)

ক্ষুধার্তের জন্য প্রচেষ্টাকারী শুধু জিহাদকারীর মর্যাদা লাভ করবে তা নয়; এমনকি সে ওই ব্যক্তির ন্যায় যে অব্যাহতভাবে দিনে (নফল) সিয়াম পালনকারী এবং প্রতি রাত্রে সালাত (তাহাজ্জুত) আদায়কারীর ন্যায়। প্রখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমার মনে হয় রাসুলুল্লাহ (সা.) মিসকিনদের জন্য চেষ্টা-সাধনাকারীদের সম্বন্ধে একথাও বলেছেন যে, ওই ব্যক্তি একাধারে গালাত ও সিয়াম পালনকারীর ন্যায়।’ (বুখারি: ৬০০৭; মুসলিম: ২৯৮২)

৯. জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামত লাভ: মহান আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার লক্ষ্যে দুস্থ-গরিবের প্রতি খাদ্য দানকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং সে জান্নাতের অফুরন্ত নিয়ামতরাজি ভোগ করতেই থাকবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুমিনরা আল্লাহর প্রতি তাদের ভালোবাসার খাতিরে খাদ্য দান করে ক্ষুধার্ত এতিম, মিসকিন ও কয়েদিদেরকে। যার কারণে মহান আল্লাহ তাদেরকে কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনের অনিষ্টতা থেকে রক্ষা করবেন। শুধু তাই নয় তাদেরকে দান করবেন আনন্দ এবং সজীবতা। তাদের ধৈর্যশীলতার জন্য দেবেন জান্নাতের রেশমি পোশাক। জান্নাতে তারা উচ্চ আসনে হেলান দিয়ে বসবে।’ (সুরা দাহর: ৭৬/৮-২২)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা বেশি বেশি ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান কর, তাহলে শান্তির সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (তিরমিজি: ১৯৮৪)

১০. নানাবিধ সামাজিক উপকারিতা

ক. মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা পূরণ: খাদ্য মানুষের প্রধান মৌলিক চাহিদা। এ অন্নের তাড়নায়ই বহু দরিদ্র ব্যক্তি নানাবিধ সামাজিক অপরাধের দিকে ঝুঁকে পড়ে। যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি। এসবের মূলে রয়েছে অভাব। তাই ক্ষুধার্ত দরিদ্রদেরকে খাদ্য দানের মাধ্যমে সমাজে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে, যার ফলে কমে যাবে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই। বিরাজ করবে স্থিতিশীলতা।

খ. পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ়: ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে সমাজে বসবাসরত উচ্চ শ্রেণি দরিদ্র শ্রেণির সাহচর্যে আসে, তাদের পাশে দাঁড়ায়। ফলে উভয় শ্রেণির মধ্যে ব্যবধান কমে যায় এতে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। একের প্রতি অন্যের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, আন্তরিকতা ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়।

গ. বৈষম্য হ্রাস: ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে একজনের কষ্টে আরেক জনের এগিয়ে আসা হয়। ফলে সমাজে শান্তি স্থিতিশীলতা বিরাজ করে এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও সম্প্রীতির সমাজ গড়ে ওঠে। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দানের মাধ্যমে ধনীরা দরিদ্রদের কাছে আসে ফলে ধনী-দরিদ্র বৈষম্য অনেকাংশে কমে যায় এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিরাও খাবার পেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করে।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ