নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। বিয়ের মাধ্যমে মানুষের নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্ব দূর হয়। বিয়ে হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত একটি বিষয়। কিন্তু সমাজের নিদারুণ নিয়ম তন্ত্রের মধ্যে পড়ে অনেক যুবক-যুবতি ঠিক সময়ে বিয়ে করতে পারে না। আবার কেউ কেউ বিয়ে করতে চাইলেও পছন্দ মতো পাত্র কিংবা পাত্রী না পাওয়ায় বিয়ে হয় না। বিয়ে করা যুবক-যুবতীদের জন্য ক্ষেত্র ভেদে ফরজ আবার কখনও সুন্নত। তাই দ্রুত বিয়ে করে নেয়াই ভালো। অনেকের বয়স অতিক্রম হয়ে যায়, তারপরও বিয়ে হয় না। তাদের জন্য নিম্নের আমলটি দেয়া হলো-
যেসব যুবক-যুবতীদের বিবাহের বয়স অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না, তাদের মধ্যে যুবকেরা ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরে এবং যুবতীরা বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কব্জি চেপে ধরে প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের আগে ৪০ বার হিসাবে ৪০ দিন পর্যন্ত ইয়া ফাত্তাহু (الفتاح), অর্থ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুতকারী পড়বেন।
নিয়মিত নামাজের পর তাসবিহে ফাতেমি পড়লে দ্রুত বিয়ে হতে পারে। আর তাসবিহে ফাতেমি পড়ার আগে কুরআন তেলাওয়াত ও দরূদ পাঠ করে পড়া উত্তম। তাসবিহে ফাতেমি হলো-
- اَلْحَمْدُ لِلّه : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার পড়া।
সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা:
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
ইসতেগফার করা: সবসময় জবানে ইসতেগফার জারি রাখা। অর্থাৎ ‘আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ’ পড়া। কেননা যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইসতেগফার করে, সে মুসতাজেবুদ দাওয়াহ হয়ে যায়। যার দোয়া আল্লাহ কখনো ফেরত দেন না।
اَسْتَغْفِرُ الله – اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ।
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।’সুরা আদ-দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা ছুম্মা তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খায়রিং ফাক্বির।’
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন খুব একাকি ও বিষন্নতা অনুভব করতেন, তখন তিনি এ আয়াতটি বেশি বেশি পাঠ করতেন। তাই ওলামায়ে কেরাম নারী-পুরুষদের এ আমলটি দিয়ে থাকেন। যদি কোনো ছেলে এ আয়াতটি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে শিগগিরই আল্লাহ তা’আলা তার জন্য ভালো পাত্রীর ব্যবস্থা করে দেন। আর মেয়েরা যদি নিয়মিত সুরা দোহা ১১ বার তেলাওয়াত করে, তবে তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলা সর্বোত্তম পাত্রের ব্যবস্থা করে দেন।
সুরা ইয়াসিন পাঠ করা : সুরা ইয়াসিন বিয়ে সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান করে দেয়। সুরা ইয়াসিন পড়ার একটি বিশেষ আমল রয়েছে। যাদের বিয়ের প্রস্তাব আসে কিন্তু বিয়ে হয় না। তাদের জন্য এ আমলটি কার্যকরী। আর তা হলো- সুরা ইয়াসিনে ৭টি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন পূর্ব আকাশে লাল হয়ে উঠে তখন, পশ্চিমমুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পড়া। আর যখনই ‘মুবিন’ শব্দ তেলাওয়াত করা হবে তখনই শাহাদাত আঙুল দিয়ে পেছনের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে ইশারা করা।
সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা: فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ উচ্চারণ : ফাইং তাওয়াল্লাও ফাকুল হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ