ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো ঈমানি দায়িত্ব

প্রকাশনার সময়: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:৩৬

মুসলিমরা পরস্পর ভাই ভাই। এক মুসলিমের বিপদে অন্য মুসলিমের এগিয়ে আসা, তাকে সাহায্য করা কর্তব্য। নির্যাতিতের পক্ষে কথা বলা, অত্যাচারীকে বাধা দেয়া সেই কর্তব্যেরই অংশ। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে জালিম হোক অথবা মজলুম।’ আনাস (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! মজলুমকে সাহায্য করব, তা তো বুঝলাম। কিন্তু জালিমকে কী করে সাহায্য করব? রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি তার হাত ধরে তাকে বিরত রাখবে।’ (অর্থাৎ তাকে জুলুম করতে বাধা দেবে) (বুখারি: ২৪৪৪)

আল্লাহ তায়ালা মজলুমের পক্ষে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আর তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর, যার অধিবাসীরা অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষাবলম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।’ (সুরা নিসা: ৭৫)

আজ বিভিন্ন দেশে মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে, কাফের-মুশরিকদের হাতে মার খাচ্ছে। মুসলিমরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত সম্প্রদায়। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ইহুদিদের আক্রমণের শিকার কয়েক যুগ ধরে। বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশগুলো যদি ফিলিস্তিনের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসত তাহলে এত দিনে ফিলিস্তিন পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করত। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের এমন দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো বিশ্ব মুসলিমের কর্তব্য।

প্রত্যেকের দায়িত্ব সাধ্যমত মজলুমের পক্ষ নিয়ে জালিমকে প্রতিরোধ করা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় দেখলে সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন মুখে প্রতিবাদ করে; আর যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে মনে মনে তা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে। এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর।’ (মুসলিম: ৪৯)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, যদি শক্তি-সামর্থ্য থাকে তাহলে জালিমের জুলুমকে শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। তা সম্ভব না হলে কথা দিয়ে জুলুমকে প্রতিহত করতে হবে। তাও সম্ভব না হলে জুলুমকে অন্তত হূদয় থেকে ঘৃণা করতে হবে।

জালিমের উচিত মজলুমের বদদোয়াকে ভয় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অত্যাচারীদের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা তাদের বদদোয়া আর আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই। (অর্থাৎ আল্লাহর দরবারে তাদের বদদোয়া দ্রুত কার্যকরী হয়। (মিশকাত: ১৬৮০)

অত্যাচারীদের ওপর আল্লাহ লানত বর্ষণ করেন। রব্বে কারিম ইরশাদ করেছেন, ‘সাবধান! জালিমদের ওপর আল্লাহর লানত।’ (সুরা হুদ: ১৮)

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ