ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মসজিদের ভেতর আজান দেওয়া কি জায়েজ?

প্রকাশনার সময়: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:০৪

আজান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নামাজের জন্য মানুষকে ডাকার মাধ্যম আজান। আজান শুনে মানুষ সব ব্যস্ততা ছেড়ে নামাজে আসে। আজানের শব্দে আছে আল্লাহ তাআলার বড়ত্বের ঘোষণা, আল্লাহর একাত্ববাদের ঘোষণা, রাসুল (সা.)-এর রিসালতের সাক্ষ্যদান ও তাঁর প্রশংসা। আজানে আরো আছে কল্যাণ ও সফলতার প্রতি আহ্বান। এই আজান শুনে বহু অমুসলিম ইসলামকে ভালোবেসেছে এবং ইসলাম গ্রহণ করেছে।

আযানের ক্ষেত্রে সালাফের পদ্ধতি ছিল, মসজিদের বাইরে কোনো উঁচু স্থান বা মিনার থেকে আজান দেওয়া। এ ব্যাপারে অনেক হাদিস ও আসার রয়েছে। যেমন, নাজ্জার গোত্রের এক নারী সাহাবি (রা.) বলেন, মসজিদে নববীর নিকটবর্তী বাড়িগুলোর মধ্যে আমার বাড়ি ছিল সবচেয়ে উঁচু। বেলাল (রা.) সেখানে উঠে ফজরের আজান দিতেন।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৫১৯)

আবদুল্লাহ ইবনে শাকিক (রহ.) বলেন, ‘সুন্নাহ হচ্ছে আজান মিনার থেকে দেওয়া এবং ইকামত মসজিদের ভেতর দেওয়া।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ২৩৪৫)

এসব হাদিস-আসারের কারণে ফকিহরাও উঁচু স্থান বা মিনার থেকে আজান দেওয়াকে সুন্নত বলেছেন। এবং মসজিদের ভেতর আজান দেওয়াকে মাকরূহ বলেছেন। অবশ্য ফকিহরা বলেছেন, মসজিদের ভেতর আজান দেওয়া মাকরূহ হওয়ার মূল কারণ হলো, আওয়াজ দূরে না পৌঁছা। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু সাধারণত মাইকে আজান দেওয়া হয়।

আর এক্ষেত্রে মসজিদের ভেতর থেকে আজান দিলেও আওয়াজ দূর-দূরান্তে পৌঁছে যায়। তাই এভাবে মসজিদের ভেতর মাইকে আজান দিলে তা মাকরুহ হবে না। তবে আমলটি যাতে সালাফের তরিকার সাথে সামঞ্জস্যশীল হয় এজন্য মাইকে আজান দিলেও মসজিদের বাইরে থেকে আজান দেওয়াই উত্তম হবে। এবং এটি এভাবেও সম্ভব যে, মাইকের জন্য মসজিদের সঙ্গেই আলাদা কামরা থাকবে। মুয়াজ্জিন সেখান থেকে আজান দেবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৩৮৪, ইলাউস সুনান : ২/১৪০, ৮/৮৬, ইমদাদুল মুফতিন: ৩/৯৩)

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ