ঢাকা, রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিষণ্ণতা হবেন না

প্রকাশনার সময়: ০১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৮

দুশ্চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন নেই। আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করবেন, ফেরেশতারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছে। মুমিনগণ প্রতি নামাজে আপনার সঙ্গে শরিক আছেন। রাসুলে কারিম (সা.) সুপারিশ করবেন। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালার উত্তম ওয়াদা রয়েছে। এসব ছাপিয়ে আর-রহমানুর রাহিমের রহম তো আছেই।

বিষণ্ন্ন হবেন না, নেক আমলের প্রতিদান ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত এমনটি তার চেয়েও বেশি অধিক গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পক্ষান্তরে বদ আমলের বদলা ততটুকুই দেয়া হবে যতটুকু বদ আমল হবে। এমনকি আল্লাহ তায়ালা সেগুলোকে ক্ষমাও করে দিতে পারেন। আল্লাহ তায়ালার দয়ার কি কোনো সীমা-পরিসীমা আছে? আল্লাহ তায়ালার উদারতা ও মহানুভবতার কাছাকাছি কি কারও উদারতা ও মহানুভবতা হতে পারে?

অতএব, হতাশা আপনার নিকট বাতাসের ন্যায় হালকা। আপনি একত্ববাদে বিশ্বাসী, মিল্লাতে ইসলামিয়ার সদস্য এবং আহলে কিবলার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলে কারিম (সা.) এর সঙ্গে আপনার মহব্বত আছে। আপনি গুনাহের কারণে অনুতপ্ত ও নেকির কারণে খুশি হন। তাই আপনার কাছে শুধু কল্যাণ আর কল্যাণই আছে। যদিও আপনি তা উপলব্ধি করতে পারেন না।

আপনি সুখে থাকুন বা দুঃখে, আপনি ধনী হন বা দরিদ্র; আপনি সবসময় কল্যাণেই আছেন। এজন্যই রাসুলে কারিম (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার সমস্ত কাজ কল্যাণকর। এটা শুধু একমাত্র মুমিনেরই বৈশিষ্ট্য। যদি সে কোনো মুসিবতে পতিত হয় এবং তাতে ধৈর্যধারণ করে, তাহলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি সে সুখে থাকে এবং সেজন্য শুকরিয়া আদায় করে তাহলেও তা তার জন্য কল্যাণকর হয়।’ (মুসলিম: ৭৩৯০)

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ